ইউক্রেনের খাদ্যশস্য সরবরাহে অবরোধ ও নিজেদের পণ্য রফতানিতে বিধিনিষেধের মাধ্যমে বিশ্বকে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে ফেলছে রাশিয়া বলে মনে করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৮ জুন) ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল এমন মন্তব্য করে বলেন, শস্য রফতানিকে অস্ত্র বানিয়ে যারা ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিরোধিতা করছে তাদের বিরুদ্ধ হুমকিস্বরূপ একে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়ার রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
সোমবার (২০ জুন) লুক্সেমবার্গে ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা ও ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।
তার অফিসিয়াল ব্লগে প্রকাশিত নিবন্ধে বোরেল বলেন, বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তায় অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো প্রভাব মোকাবিলায় জাতিসংঘ ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত।
তিনি বলেন, রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে। ইউক্রেন থেকে শস্য ও সারের চালান বন্ধ করে দিয়েছে। এতে রুশ পণ্যবাহী জাহাজও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া নিজেদের খাদ্যশস্য রফতানিতে কোটা ও অতিরিক্ত করারোপ করেছে রাশিয়া। এতে বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে।
তিনি দাবি করেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের প্রতিবাদে রাশিয়ার ওপর ইইউ যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা রাশিয়ার কৃষিপণ্য রফতানি ও রফতানি হওয়া কৃষিপণ্যের মূল্য পরিশোধে কোনো প্রভাব ফেলছে না।
আমরা এই ইস্যুতে জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। ইইউ ও অন্য সদস্য দেশগুলো এই লক্ষ্য অর্জনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে। আমরা আশা করি যে আগামী দিনে একটি সমাধান পাওয়া যাবে। এটি না করলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি সতর্ক করেন।