একযুগ আগে যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে ‘মি টু’ নামের যে আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটেছিল সেটার রুপ এখন অনেকটাই পাল্টে গেছে। যা এখন ‘অচেনা’ বলে জানিয়েছেন আন্দোলনটির প্রতিষ্ঠাতা তারানা বার্ক।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) টেকনোলজি, এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড ডিজাইন (টিইডি) সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। খবর বিবিসি’র।
বার্ক বলেন, ‘মিডিয়ার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে’।
তিনি আরও বলেন, ‘যৌন সহিংসতার হাত থেকে বাঁচার জন্য এ আন্দোলনের শুরু। যেখানে যৌন নির্যাতনকারী পুরুষদের বিরুদ্ধে তাঁর কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নিন্দামূলক কথাও বলা হয়। যারা হয়রানির শিকার তাদের কথা শোনা হয়, পরবর্তীতে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়’।
২০০৬ সালে আফ্রো-আমেরিকান সামাজিক আন্দোলনের কর্মী তারানা বার্ক নারী অধিকার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নারীর উপর যৌন নিপীড়নের বিষয়ে প্রথমবারের মতো ‘মি টু’ ধারণার উদ্ভব করেন। উদ্ভবের পর একই নামে একটি প্রামাণ্যচিত্রও নির্মাণ করেন। যেটার মূল উদ্দেশ্য ছিল যৌন নিপীড়ন কমানো।
হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা প্রযোজক হার্ভে উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েই ‘মি টু’ শব্দটি হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী নতুন আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে।
কিন্তু বার্ক মনে করেন, যারা প্রকৃত হয়রানির শিকার, তারা এই আন্দোলনের সুফল পাচ্ছে না।
তিনি টেড সম্মলনে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমার এই আন্দোলন একটি সহিংস দৃষ্টিভঙ্গির অংশ, যার মাধ্যমে সারা পৃথিবীকে যৌন সহিংসতা মুক্তি দিতে সাহায্য করবে’।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে সমাজকর্মী তারানা বার্ক যখন ১৩ বছরের এক কিশোরীর মুখে তার ওপর যৌন নির্যাতনের অভিজ্ঞতার কথা শুনেছিলেন, তখনই তার বুকের ভেতর জন্ম নিয়েছিল ওই ‘মি টু’-এর ধারণা।
তারানা বার্ক নিজেও যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। তাই ২০০৬ সালে কৃষ্ণাঙ্গ বার্ক যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে এ আন্দোলন গড়ে তুললেও ২০১৭ সালে এসে এ আন্দোলনটি গোটাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।