ইরানে বিক্ষোভের নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল: খামেনি

মধ্যপ্রাচ্য, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 17:11:33

ইরানে পুলিশি হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান বিক্ষোভের নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

সোমবার (৩ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরুর পর প্রথম এ বিষয়ে মুখ খুললেন খামেনি।

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইরানের চরম শত্রুরা ‘দাঙ্গা’র নেপথ্যে ‘কলকাঠি নাড়ছে’। প্রায়শই ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের চরম শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন তিনি।

নারী অধিকারের দাবিতে চলমান এ বিক্ষোভে পবিত্র কোরআন পোড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

তিনি সোমবার পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর ক্যাডেটদের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভ দমনে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।

খামেনি বলেন, মাসা আমিনির মৃত্যুতে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রমাণ ছাড়াই কিছু মানুষ হিজাব খুলে ফেলেছে, পবিত্র কোরআন পুড়িয়েছে এবং মসজিদে ও গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। আমি পরিস্কারভাবে বলছি, এসব দাঙ্গা এবং অস্থিতিশীলতা আমেরিকা ও দখলদার ভুয়া জায়নবাদী রাষ্ট্রের কারসাজি। দেশে-বিদেশে তাদের ভাড়াখাটা এজেন্টরা কিছু ইরানির সহায়তায় এসব করছে।

এদিকে তেহরানের শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থীরা দেশটির নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকা কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির (২২) মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দেশটিতে নারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন।

শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গাড়ি পার্কিং এলাকায় শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশকে নিরাপত্তাকর্মীদের হামলা থেকে বাঁচতে মাটিতে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে নিরাপত্তাকর্মীদের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে।

নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩৩ জন নিহত হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিরাপত্তা কর্মীসহ ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর