ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে রাশিয়া।
বুধবার (৯ নভেম্বর) রুশ সেনাদের পশ্চিম তীর থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে ইউক্রেন সতর্ক করে বলেছিল, রুশ সেনাদের পিছু হঠা পুতিনের একটি ফাঁদ হতে পারে।
গত সেপ্টেম্বরে যে চারটি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে খেরসন সেগুলোর একটি। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার দখল করা একমাত্র প্রাদেশিক রাজধানী ও বৃহত্তম ভূখণ্ড হলো খেরসন। খেরসন প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী হলো খেরসন শহর। ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে খেরসন শহরের অবস্থান।
খেরসনের পশ্চিম তীর থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রায় ৯ মাসের যুদ্ধে রাশিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম পিছু হটা। এটি যুদ্ধের একটি সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।
খেরসন কেন দুই পক্ষের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ, তা নিয়ে বিবিসি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বলা হয়েছে, খেরসন ক্রিমিয়া উপদ্বীপের খুব কাছে, যেটি ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করে নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে নেয় রাশিয়া। ক্রিমিয়ায় এখন রাশিয়ার অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি আছে।
কিংস কলেজ লন্ডনের প্রতিরক্ষাবিষয়ক গবেষক মারিনা মিরন বলেন, খেরসন হলো ক্রিমিয়ার প্রবেশদ্বার। এ যুদ্ধে ইউক্রেনের মূল লক্ষ্য হলো ক্রিমিয়া পুনর্দখল। সুতরাং খেরসনের নিয়ন্ত্রণ তাদের লক্ষ্য অর্জনের পথকে প্রশস্ত করবে।