ভূমিকম্পের আজ সপ্তম দিন। তুরস্ক ও সিরিয়ার ধ্বংসাবশেষ থেকে এখন আর কাউকে জীবিত উদ্ধার করা গেলে তা হবে অলৌকিক কিছু। এরই মধ্যে বাতাসে পচন ধরা লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। তার ভেতর দিয়ে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন জীবিতদের উদ্ধারে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্ক ও সিরিয়ায় সংগঠিত ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্য তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৬৪৩ জনে। আর সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৬১৪ জন। ফলে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ২৫৭ জনে।
ভূমিকম্পের জেরে দুদর্শায় পড়েছেন তুরস্ক ও সিরিয়ায় বেঁচে যাওয়া লাখ লাখ মানুষ। দেশ দুটিতে হাজার হাজার ভবন ভেঙে পড়েছে। দেখা দিয়েছে খাবারসহ জরুরি নানা পণ্যের সংকট।
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প উপদ্রুত এলাকাগুলোতে আট লাখের বেশি মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবারের সংকটে রয়েছেন। বিপত্তি আরও বাড়িয়েছে তীব্র ঠান্ডা। এতে ভূমিকম্পের কবল থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা যেমন কষ্টে রয়েছেন, তেমনই বাধা পড়ছে উদ্ধারকাজে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়ায় ভূমিকম্পের কারণে ৫.৩ মিলিয়ন মানুষ গৃহহীন হয়েছে।