তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে অলৌকিকভাবে আরো তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভূমিকম্পটি হওয়ার ২৪৮ ঘণ্টা পর তাদের বের করা হয়েছে। এদিকে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের নিশ্চিত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৮৮৫ জন। উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে বরফ-শীতল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে ত্রুটিপূর্ণভাবে ভবন নির্মাণ করার অভিযোগে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভবন নির্মাণে সমস্যার কারণে ক্ষতি এত বেশি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তুরস্কে বৃহস্পতিবার আলিয়ানা ওলমেজ 'মিরাকল গার্ল' হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৭ বছরের এই কিশোরীকে উদ্ধারকর্মীরা বিধ্বস্ত একটি ভবন থেকে বের করে আনে। একই দিন নেসলিহান কিলিক (৩০) ও ওসমান (১২) নামের আরো দুজনকে উদ্ধার করা হয়। ওসমান উদ্ধারকারীদের জানিয়েছে, কাছাকাছি জায়গায় আরো কয়েকজন চাপা পড়ে আছে।
আলিয়ানার চিকিৎসক অধ্যাপক দিলবার দীর্ঘ সময় ধরে ধ্বংসাবশেষের নিচে থাকার পরও তার অবস্থা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি টিআরটি হ্যাবারকে বলেন, ধ্বংসাবশেষের নিচে থাকার পুরো সময় আলিয়ানা কিছু খায়নি, পান করেনি। কিন্তু তারপরও তার অবস্থা বেশ ভালো রয়েছে।
তিনি বলেন, আলিয়ানা চাপা পড়ে থাকায় নড়াচড়া করতে পারেনি। এ ধরনের নিস্ক্রিয় থাকার কারণে তার তেমন শক্তি ব্যয় করতে হয়নি। তবে অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে, যা আলিয়ানা ব্যাখ্যা করতে পারছে না।
ডা. দিলবার বলেন, 'আলিয়ানার মধ্যে কোনো হাইপোথারমিয়া নেই। ব্লাড টেস্টে তার কিডনি ভালো থাকার প্রমাণ মিলেছে। মাসল এনজাইমও খুব বেশি নয়। তার ফ্লুইড থেরাপি দেয়া হচ্ছে। এই থেরাপির পর সে ভালোভাবে কথা বলতে পারবে।'
বৃহস্পতিবার কিলিক নামে ৩০ বছর বয়স্কা এক নারীকেও উদ্ধার করা হয়। তিনি ভূমিকম্পের ২৫৮ ঘণ্টা পর ধ্বংসাবশেষ থেকে বের হন। তার পরিবার একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের সপ্তম ফ্লোরে থাকত। তার ভগ্নিপতি গাজি ইলদিরিম বলেন, তাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য এখনো চাপা পড়ে আছে।
দীর্ঘ সময় চাপা থাকার পরও উদ্ধারের সময় কিলিক কথা বলতে পারছিলেন।