ভারতের পুণেতে গত ১৩ আগস্ট চাচা-ভাতিজার সাক্ষাতের পরেই পুনর্মিলনের সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। এরপর শারদ পাওয়ার শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দলে ভাঙনের কথা সরাসরি অস্বীকার করে বলেছেন, রাজনৈতিক অবস্থানে ফারাক থাকলেও তিনি এবং অজিত-দুজনেই এখনও এনসিপিতে রয়েছেন।
মহারাষ্ট্রের বারামতী থেকে কোলাপুরে যাওয়ার পথে এনসিপি প্রধান বলেন, ‘অজিত এখনও আমাদের দলের নেতা, সে বিষয়ে কোনও সংশয় নেই। হ্যাঁ, কিছু নেতা ভিন্ন রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েছেন। গণতন্ত্রের বিচারে তারা তা করতেই পারেন।’
এ ছাড়াও শারদকন্যা তথা এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ‘অজিত পাওয়ার আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা।’
টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শুক্রবার অজিতদের বিদ্রোহের প্রসঙ্গই অস্বীকার করেন শারদ। তিনি বলেন, ‘যখন একটি দলে জাতীয় পর্যায়ে বিভাজন হয়, তখনই তাকে ভাঙন বলা যায়। এক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি।’
যদিও তথ্য বলছে, ইতিমধ্যেই ‘আসল এনসিপি’ হিসাবে স্বীকৃতি চেয়ে পতাকা এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’-র দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে অজিতপন্থীরা।
অন্যদিকে, শারদপন্থীরা বহিষ্কার করেছে বিদ্রোহী দুজন সাংসদ এবং সাত বিধায়ককে। তবে সেই তালিকায় রয়েছেন প্রফুল্ল পাটেল, সুনীল তটকরে, ছাগন ভুজবাল, ধনঞ্জয় মুন্ডে, দিলীপ ওয়ালসে পাতিলের মতো নেতারা।
গত ২ জুলাই এনসিপির পটপরিবর্তন মহারাষ্ট্র রাজনীতির বেশ কয়েকটি সমীকরণ বদলে দিয়েছে। অজিতসহ নয় জন বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কের মন্ত্রিত্ব এবং ভাল দফতর লাভের পরে এনডিএর ভেতরে ক্রমশ তার শিবিরের পাল্লা ভারী হচ্ছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে চাচা শারদ ফের বিদ্রোহী ভাতিজার সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটতে পারেন বলে মহারাষ্ট্রের বিজেপিবিরোধী জোটের অন্য দুই শরিক কংগ্রেস এবং শিবসেনার (উদ্ধব) নেতাদের একাংশের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার শারদের মন্তব্যে ওই আশঙ্কা আরও প্রবল হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।