ইরানের ড্রোন এবং সামরিক বিমান তৈরির প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকায় চীনা কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের উপর মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞার দৃঢ় বিরোধিতা করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চীন।
বেইজিং কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ওই নিন্দা প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটন গত সপ্তাহে ইরান, চীন, রাশিয়া এবং তুরস্কের সাত ব্যক্তি এবং চারটি সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলেছে, ওই ব্যক্তিবর্গ ও সংস্থাগুলো তেহরানকে সামরিক প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত চালান এবং আর্থিক লেনদেনের সুবিধা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করছে ইরান, যা ইউক্রেনে মস্কোর একটি প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এবং সিরিয়ায় নিয়মিত ব্যবহার হচ্ছে।
যদিও ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়ার কাছে ড্রোন পাঠানোর বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করেছে ইরান।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভিতে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘বেইজিং বলেছে, ইরানের তথাকথিত ড্রোন এবং সামরিক বিমান তৈরির কারণে যুক্তরাষ্ট্র কিছু চীনা উদ্যোক্তা এবং ব্যক্তির নাম তার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে, যার দৃঢ় বিরোধিতা করে চীন।’
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত অবিলম্বে চীনা উদ্যোক্তা এবং ব্যক্তিদের উপর তার অযৌক্তিক দমন বন্ধ করা। চীন তার বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য দৃঢ়ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
উল্লেখ্য, তেহরানের ড্রোনগুলো পশ্চিমা ভারী নিষেধাজ্ঞার অধীনে রাশিয়া এবং ইরানের জন্য সামরিক কৌশলের একটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
গত সপ্তাহে মার্কিন ট্রেজারি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন বলেছিলেন, ‘ইরানের তৈরি ইউএভির (মানুষবিহীন আকাশযান) নিরবিচ্ছিন্ন এবং ইচ্ছাকৃত বিস্তার রাশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যসহ বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করেছে।’