উত্তর কোরিয়া ট্র্যাভিস কিং নামের এক মার্কিন সেনাকে বহিষ্কার করবে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা। ওই মার্কিন সেনা দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত দিয়ে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেছিল।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ ট্র্যাভিস কিংকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে।
কেসিএনএ আরও জানিয়েছে, ট্র্যাভিস কিং জিজ্ঞাসাবাদে বেআইনিভাবে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশের কারণ হিসাবে মার্কিন সেনাবাহিনীর মধ্যে অমানবিক আচরণ এবং জাতিগত বৈষম্যের কথা উল্লেখ করেছেন।
তদন্ত শেষ করার পর আইন অনুযায়ী উত্তর কোরিয়ার ভূখণ্ডে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী মার্কিন সেনা ট্রাভিস কিংকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিয়ংইয়ং।
তবে, কবে, কখন কিংকে বহিষ্কারের পরিকল্পনা করছে, তা জানায়নি পিয়ংইয়ংকর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ কোরিয়ার পাজুর সীমান্তর্তী গ্রাম পানমুনজোমের ডিমিলিটারাইজড জোনে (ডিএমজেড) সফরের সময় গত জুলাই মাসে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে পড়েন ট্রাভিস।
এর আগে একটি হামলার দায়ে তিনি প্রায় দুই মাস দক্ষিণ কোরিয়ার কারাগারে বন্দী ছিলেন।
ট্রাভিসকে গত ১০ জুলাই কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে তার টেক্সাসের ফোর্ট ব্লিসের বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বিচারের মুখোমুখি হতেন। তাই তিনি অন্যত্র পালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
তাকে কাস্টমস পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হলেও সে বিমানে ওঠার আগেই তার পাহারাদার দল বিমানবন্দর ত্যাগ করে এবং সেই সুযোগে তিনি ডিএমজেড জোন সফরে যোগ দেন। আর এদিকে ডিএমজেড জোনের ঢিলেঢালা পাহারা ফাঁকি দিয়ে ট্রাভিস অবশেষে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন।