ভারতের ‘সবুজ বিপ্লবের জনক’ এম এস স্বামীনাথন আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। চেন্নাইতে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, তার পরিবারে স্ত্রী মীনা ও তার তিন কন্যা সৌম্য, নিত্যা, মধুরা রয়েছেন। তার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সর্বমহলে।
দেশে উচ্চফলনশীল ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বামীনাথনের অবদান অবিস্মরণীয়। কম আয়ের কৃষকরা যাতে বেশি উৎপাদন করতে পারেন, সেই পথ দেখিয়েছেন এই প্রথিতযশা বিজ্ঞানী।
বিশ্বের প্রথম খাদ্য পুরস্কারের বিজেতাও ছিলেন এম এস স্বামীনাথন। ১৯৮৭ সালে তিনি ওই পুরস্কার জিতেছিলেন। চেন্নাইতে রয়েছে তার নামাঙ্কিত ‘এম এস স্বামীনাথন রিসার্চ ফাউন্ডেশন।’
১৯৭১ সালে তিনি ম্যাগসাইসাই পুরস্কারে ভূষিত হন। এ ছাড়াও ১৯৮৬ সালে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ওয়ার্ল্ড সায়ান্স অ্যাওয়র্ডেও তিনি ভূষিত হন।
এদিকে, এম এস স্বামীনাথনের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, ‘ড. স্বামীনাথনের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। দেশের ইতিহাসে একটা কঠিন সময়ে তিনি কৃষির ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব কাজ করেছিলেন, যাতে দেশের কোটি কোটি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তা পান।’
১৯২৫ সালের ৭ অগস্ট তৎকালীন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির কুম্ভকোনমে জন্মগ্রহণ করেন স্বামীনাথন। বাবা এমকে সাম্বাসিবন ছিলেন জেনারেল সার্জন।
কুম্ভকোনমের স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু তার। ১৫ বছর বয়সে সকলকে চমকে দিয়ে তিনি বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার করেন সম্মানের সঙ্গে।
ছোট থেকেই তিনি কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তিনি ছোট থেকে দেখেছিলেন, ফসলের দামের কমতি কীভাবে প্রভাব ফেলে চাষাবাদের উপর। এরপরই তিনি ভারতের কৃষিকাজ ও কৃষিজীবীদের বহু আর্থিক যন্ত্রণাকে লাঘব করার জন্য গবেষণা শুরু করেন। ভারতের খাদ্যসংকট মেটাতে তার গবেষণা বড় ভূমিকা পালন করেছে।