মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন প্রগ্রেসিভ পার্টি অব দ্য মালদ্বীপের (পিপিএম) নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী মুইজ্জো। ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
মালদ্বীপের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, নির্বাচনে মোট ৫৬৮ টি ব্যালট ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যালটগুলোর সব ভোট গণনা করে দেখা গেছে বিরোধী দলীয় নেতা মুইজ্জো ৫৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রেসিডেন্ট সোলিহ পেয়েছেন ৪৬ দশমিক ২৭ শতাংশ ভোট। গতকাল শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। ভোট গণনা শেষে এদিন রাত ৮টার পরই ফল প্রকাশ করা হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
মূলত মালদ্বীপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৯ সেপ্টেম্বর। কিন্তু প্রথম ধাপে কোনে প্রার্থীই এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় রানঅফ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হয়। শেষ পর্যন্ত রানঅফ নির্বাচনে মুইজ্জো নির্বাচত হয়ে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুইজ্জো ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই কারাবন্দী আবদুল্লাহ ইয়ামিনের মুক্তির দাবি তোলেন। তিনি দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন।বর্তমানে দুর্নীতি মামলার ১১ বছরের সাজা ভোগ করছেন তিনি। পিপিএমের সদর দফতরে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
অন্যদিকে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে পরাজয় স্বীকার করে নেন সোলিহ। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে তিনি অভিনন্দন জানান।
উল্লেখ্য মুইজ্জো ভারত বিরোধী নেতা। মুইজ্জো ক্ষমতায় আসার ফলে মালদ্বীপের সাথে ভারতের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও ভারতের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হতে পারে দেশটির। অন্যদিকে চীনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। দলটি এর আগে ২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত মালদ্বীপের ক্ষমতায় ছিল। তখন মালদ্বীপে চীনের প্রভাব বেশি ছিল। ৫ বছর পর ক্ষমতায় এসে সে সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে দেশটি।