পশ্চিম আফগানিস্তানে ধারাবাহিক ভূমিকম্পে নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি নারী এবং শিশু বলে বুধবার (১১ অক্টোবর) জানিয়েছে ইউনিসেফ।
এদিকে, নতুন কম্পনের ফলে বিপর্যয়ের কারণে সমতল গ্রামের বাসিন্দারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
হেরাত শহরের প্রায় ২৯ কিলোমিটার উত্তরে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে সপ্তাহান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে৷
ওই ভূমিকম্পে ১,০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আফগান সরকার। এর আগে তারা নিহতের সংখ্যা ২০০০ জন বলে জানিয়েছিল।
হেরাতভিত্তিক ইউনিসেফের ফিল্ড অফিসার সিদ্দিগ ইব্রাহিম বলেছেন, ‘শনিবার সকাল ১১টার দিকে প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ৬.৩ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্পকে প্রধাণত নারী ও শিশুরা প্রাণহানির শিকার হয়েছিল।’
তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নারী এবং শিশুরা বেশিরভাগ সময় বাড়িতে থাকে। কারণ, তারা পরিবার এবং শিশুদের যত্ন নেয়। তাই যখন কাঠামো ভেঙে পড়ে, তখন তারাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে।’
চল্লিশ বছর বয়সি মোহাম্মদ নাঈম এএফপিকে জানান, শনিবারের ভূমিকম্পে তিনি তার মাসহ ১২ জন আত্মীয়কে হারিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে আর থাকতে পারবো না। আপনি দেখতে পাচ্ছেন, আমাদের পরিবার এখানে শহীদ হয়েছে। আমরা এখানে কীভাবে থাকতে পারি?’
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দেশটির একই এলাকায় ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল হেরাত শহরের ২৯ কিলোমিটার উত্তরে।
শনিবারের ভূমিকম্পের পর আরও কয়েকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পন (আফটার শক) হয়েছিল।