ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত ২৮ জন থাই নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ১৬ জন আহত এবং ১৭ জন থাই নাগরিক অপহৃত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
দেশটির শ্রমমন্ত্রী পিপাত রাচাকিতপ্রাকান রোববার (১৫ অক্টোবর) জানিয়েছেন, তেল আবিবের থাই অ্যাম্বাসির শ্রম বিষয়ক কাউন্সিলর জানিয়েছেন, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে থাই নাগরিকের মৃত্যুর সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২৮। এছাড়াও ১৭ জন অপহৃত হয়েছেন এবং ১৬ জন মারাত্মক আহত।
তিনি জানিয়েছেন, তেল আবিবে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৫৪০ জন থাই তাদের অবস্থান নিশ্চিত করেছেন। যার মধ্যে ৭ হাজার ৪৪৬ জন দেশে ফেরার জন্য আবেদন করেছেন। ৯৪ জন আপাতত ইসরাইলে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
রোববার তৃতীয় ধাপে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ৯০ জন থাই নাগরিক ফিরেছেন ইসরাইল থেকে। এর মধ্যে ৮৮ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। এই ফ্লাইটটি রায়ং প্রদেশের ইউতাপাও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যান্ড করেন এবং সাটল বাসে করে যাত্রীদের ওয়াং থং লাং জেলার হোটেলে পৌছে দেওয়া হয়। সেখানে তারা স্বজনদের সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করেন।
পিপাত জানান, সোমবার আরও ১৩৭ জন থাই ফিরবেন বিমান বাহিনীর এয়ারক্রাফটে। তারা ডন মুয়েং এয়ারপোর্টে নামবেন।
পুনঃবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত ও সহজ করতে আরও অনেক এয়ারক্রাফটের প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাবিসিনও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন। আরো কয়েকটি এয়ারলাইন্স কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে, তাদেন এয়ারক্রাফট পাওয়ার জন্য।
নক এয়ার এবং থাই এয়ার এশিয়া দুটি ফ্লাইট দিচ্ছে পুনঃবাসনের জন্য। এর সঙ্গে থাই এয়ারফোর্স এবং থাই এয়ারের দুটি ফ্লাইট যুক্ত হবে।
মন্ত্রী জানান, আপাতত দেখা যাচ্ছে মাত্র ২০০ জনকে ফেরত আনা যাচ্ছে। কারণ বেশিরভাগই পালিয়ে আসার সময় বা বাঙ্কারে থাকার সময় তাদের পাসপোর্ট হারিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ৮ হাজার পাসপোর্ট প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৩ বা ৪ দিনের মধ্যেই তাদের পাসপোর্ট দেওয়া যাবে। তখন এক দিনে ৪০০ পর্যন্ত থাই নাগরিককে ফিরিয়ে আনা যাবে।
এরই মধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয় ৫ জন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১০ জন কর্মকর্তাকে তেল আবিব পাঠিয়েছেন। যাদের পূর্বে সেখানে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং পুনঃবাসন প্রক্রিয়া সহজ করতে ভূমিকা রাখতে পারেন।
আগামী মাসের মধ্যে নিবন্ধনকৃত ৭ হাজার থাই নাগরিককে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানান মন্ত্রী।