পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শতাধিক সমর্থক সেনানিবাস ও সামরিক স্থাপনায় হামলা ও বিক্ষোভ করার কারণে গ্রেফতার হয়েছিল। এদের বিচারকাজ সামরিক আদালতের পরিবর্তে সাধারণ আদালতে করার আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার(২৩ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইজাজ উল আহসানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এই আদেশ দিয়েছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়।
বেঞ্চের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি মুনিব আখতার, বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদি, বিচারপতি সৈয়দ মাজার আলি আকবর নাকভি এবং বিচারপতি আয়শা মালিক।
সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, সেনানিবাস ও সামরিক স্থাপনায় হামলার অভিযোগে গ্রেফতারকৃতদের সামরিক আদালতে বিচার হবে না। এটি পাকিস্তানের সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই গ্রেফতারকৃতদের বেসামরিক আদালতে বিচার করার নির্দেশ দিচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে আদালত চত্বর থেকেই গ্রেপ্তার হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান। তার গ্রেফতার হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে পিটিআই’র ক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকরা দেশটির চার প্রদেশ ও তিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিভিন্ন সেনানিবাস ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পিটিআই’র শতাধিক কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে সামরিক বাহিনী বলেছিল, গ্রেফতারকৃতদের বিচার সামরিক আদালতে করা হবে। পাকিস্তানের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সামরিক বাহিনীর এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা করে ।
দেশটির সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও পিটিআই নেতা আইতজাজ হাসান সামরিক বাহিনীর এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন। সোমবার সেই আপিলের ওপর শুনানি শেষে এই আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।