হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে এ বার অবস্থান বদলাল চীন। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে সমর্থন করে বলেছেন, ‘প্রত্যেক দেশেরই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, তেল-আবিবকে উদ্দেশ্য করে ওয়াং বলেছেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে উচিত আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলা। বেসামরিক নাগরিকদের যাতে ক্ষতি না হয়, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’
সরকারি সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনের সঙ্গে সোমবার টেলিফোনে ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওয়াংয়ের।
চলতি মাসেই ওয়াংয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার কথাও রয়েছে। তার আগেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি তিনি ওই আহ্বান জানালেন।
গত ৭ অক্টোবর গাজা সীমান্ত থেকে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার পরে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ নানা দেশ এবং রাষ্ট্রগোষ্ঠী নিন্দা করলেও জিনপিং সরকার একটিও বিবৃতি দেয়নি।
এমনকি, বেজিংয়ের রাস্তায় প্রকাশ্যে এক ইসরায়েলি কূটনীতিকের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রাণঘাতী হামলা হলেও তাতে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ করেনি চীন সরকার বা ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হামাস যোদ্ধাবের সমর্থন করে মিশর এবং অন্যান্য আরব দেশের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন।
শি তখন বলেছিলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব ফিলিস্তিন সমস্যার একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য চাপ তৈরি করতে হবে।’ এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ইসরায়েলকে সমর্থন করে বেইজিংয়ের বিবৃতি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।