মিয়ানমারের আন্দামান উপকূলে তাদের প্রথম যৌথ সামুদ্রিক মহড়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মিয়ানমার ও রাশিয়া।
মিয়ানমার-রাশিয়ার সামুদ্রিক মহড়া ৭-৯ নভেম্বর পর্যন্ত মেইক থেকে ৮৫ নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
ওই মহড়া উপলক্ষ্যে রাশিয়ার নৌবাহিনী প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছেন মিয়ানমারের অভ্যুত্থান নেতা সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, মহড়াগুলো আকাশ, পানির পৃষ্ঠ এবং পানির নিচের বিপদ প্রতিরোধ এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, ওই মহড়ায় যে জাহাজগুলো অংশ নিচ্ছে তার মধ্যে অ্যাডমিরাল প্যানটেলেয়েভ এবং সাবমেরিন বিধ্বংসী জাহাজও রয়েছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রপরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে মিন অং হ্লাইংকে মস্কোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের রাশিয়ার নাবিকদের অনার গার্ডকে স্যালুট করতে দেখা গেছে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে কাগজটি বলেছে, মিন অং হ্লাইংকে তখন অ্যান্টিসাবমেরিন ডেস্ট্রয়ার অ্যাডমিরাল ট্রিবিউটসে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে রাশিয়ার নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিকোলাই ইভমেনভ তাকে জাহাজটির ক্ষমতা এবং অস্ত্র ব্যবস্থা ব্যাখ্যা করেন।
তখন তাকে অ্যান্টিসাবমেরিন হেলিকপ্টার সম্পর্কেও অবহিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার এবং রাশিয়া ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে সম্পর্ক শক্ত করেছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে যে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারীতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে মস্কো বিশ্বমঞ্চে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র ও সরঞ্জামের প্রধান সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে।
মিন অং হ্লাইং, যিনি সেনাবাহিনীর রাজ্য প্রশাসন কাউন্সিলের নেতৃত্ব দেন, তিনি অভ্যুত্থানের পর থেকে মস্কো এবং ভ্লাদিভোস্টক ভ্রমণ করেছেন এবং ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
প্রতি বছর মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে রাশিয়ার কর্মকর্তাদেরও সম্মানিত অতিথিও করা হয়ে থাকে।