মিয়ানমারে স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে জান্তা সরকারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি বুধবার (১৫ নভেম্বর) জানিয়েছে, অন্তত ২৮ জন পুলিশ সদস্য তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
এ ছাড়াও ১০ সেনাকে আটক করেছে তারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স স্বাধীনভাবে এসব তথ্য যাচাই করতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, আরাকান আর্মিসহ তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী অক্টোবরের শেষ দিকে জান্তা সরকারের বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে।
ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার তীব্রতায় রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিটওয়েতে কারফিউ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার প্রশাসন। সেখানে রাস্তায় ট্যাঙ্কও দেখা গেছে।
বিদ্রোহীদের দাবি, তারা বেশ কিছু শহর ও সামরিক ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে৷ এর মধ্যে চীন সীমান্তে অবস্থিত কিছু ফাঁড়িও রয়েছে।
২০২১ সালে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই জান্তা সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে ফাঁড়ি দখলের প্রতিবেদনকে ‘প্রোপাগাণ্ডা' বলে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দাবি করেছেন জান্তা সরকারের মুখপাত্র জ মিন তুন।
তিনি বলেন, শান, রাখাইন ও কায়াহ রাজ্যে সংঘর্ষ চলছে। তবে, জান্তা বাহিনীর সদস্যদের আত্মসমর্পণ নিয়ে তিনি অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি।
এদিকে, বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার পর মিয়ানমারের ৪৩ সেনা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মিজোরামে ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার এক পুলিশ কর্মকর্তা।
ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ সেনাকে আবার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।