গাজা উপত্যকার আল শিফা হাসপাতালে অভিযানের সময় অস্ত্র এবং সন্ত্রাসী অবকাঠামো খুঁজে পাওয়া গেছে বলে বুধবার (১৫ নভেম্বর) দাবি করেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা।
তবে, সেখান থেকে কী অস্ত্র পাওয়া গেছে তা উল্লেখ করেননি বা কোনও চাক্ষুষ প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি।
তবে তিনি বলেছেন, প্রমাণ পরে উপস্থাপন করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, রাতে সেনারা আসার পর হাসপাতাল কমপ্লেক্সের ভেতরে কোনও মারামারি হয়নি এবং চিকিৎসাকর্মী বা রোগীদের সঙ্গে কোনও ঝগড়া হয়নি।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আইডিএফ সেনারা ইতিমধ্যে অস্ত্র এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী অবকাঠামো খুঁজে পেয়েছে। গত এক ঘন্টায় আমরা নিশ্চিত প্রমাণ দেখেছি যে, হামাস সন্ত্রাসীরা শিফা হাসপাতালকে সন্ত্রাসী সদর দপ্তর হিসাবে ব্যবহার করেছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ইসরায়েলের ওই দাবি অস্বীকার করেছে হামাস।
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ওই দাবি মিথ্যা এবং সস্তা প্রচারের ধারাবাহিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়, যার মাধ্যমে ইসরায়েল গাজার স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে তার অপরাধের ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’
এদিকে ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের সেনারা একটি সুনির্দিষ্ট অভিযান পরিচালনা করেছে এবং এটি কতক্ষণ স্থায়ী হবে তা বলা যাচ্ছে না। আমাদের সেনারা বুদ্ধিমত্তার উপর ভিত্তি করে ধীরে ধীরে অগ্রগতি লাভ করছে।’
অন্যদিকে, ইসরায়েলিরা বছরের পর বছর ধরে বলে আসছে যে, হামাস জঙ্গিরা তাদের অভিযানের জন্য গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফাকে ব্যবহার করেছে।
কিন্তু, হামাস এবং হাসপাতালের কর্মীরা বারবার ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইসরায়েলের ওই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, ‘আল শিফার বাইরে বন্দুকযুদ্ধে চার জঙ্গি মারা গেছে। সেনারা যে এলাকায় অনুসন্ধান চলছে সেখানে পাওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সেনারা।