জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বলেছেন, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে এ অঞ্চলে চীনের সামরিক তৎপরতার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, সামুদ্রিক খাবার আমদানির উপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন কিশিদা।
গত এক বছরের মধ্যে এই প্রথম শি’র সঙ্গে সাক্ষাত করলেন কিশিদা।
সাক্ষাতের পর কিশিদা বলেন, ‘রাশিয়াকে সহযোগিতা করায় এবং জাপান সীমান্তের অদূরে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক তৎপরতার বিষয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’
সান ফ্রান্সিসকোতে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কর্পোরেশন (অ্যাপেক) ফোরামের আলোচনার ফাঁকে জাপানের টেলিভিশন চ্যানেলকে কিশিদা বলেন, ‘আমি জাপানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেছি।’
কিশিদা তার দেশের এক্সক্লুসিভ অর্থনৈতিক জোনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘পূর্ব চীন সাগর প্রশ্নে আমি আবারো আমাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি এবং সেখানে স্থাপিত চীনের ভাসমান বিভিন্ন বস্তু অবিলম্বে সরিয়ে নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছি।’
কিশিদা আরও বলেন, তিনি বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিক্রিয়া জানানোর এবং জাপানি পণ্য আমদানির উপর অবিলম্বে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, জাপানের ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে ব্যবহার করা বর্জ্য পানি প্রশান্ত মহাসাগরে ছেড়ে দেওয়ার পর চীন দেশটির সকল সামুদ্রিক খাবার আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
সমুদ্রকে ‘নর্দমা’ হিসেবে ব্যবহার করার দায়ে টোকিওকে অভিযুক্ত করে বেইজিং।