প্রাণীবাদীদের ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মধ্যে প্রাচীন রীতি নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।
খবরটি শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) নিশ্চিত করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নীতি বিষয়ক প্রধান।
উল্লেখ্য, কুকুরের মাংস খাওয়ার অভ্যাসের জন্য বিশ্বে সমালোচিত হয়েছে সিউল।
ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টির নীতি প্রধান ইউ ইউই-ডং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, ‘কুকুরের মাংস খাওয়া নিয়ে সামাজিক দ্বন্দ্ব ও বিতর্কের অবসান ঘটানোর জন্য একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের সময় এসেছে।’
দেশটির সরকার এবং ক্ষমতাসীন দল চলতি বছর ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য সংসদে একটি বিল উত্থাপন করবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইউ বলেন, ‘বিলটি সংসদের মাধ্যমে পাশ করানো উচিত।’
কৃষিমন্ত্রী চুং হোয়াং-কেউন এক বৈঠকে বলেন, ‘সরকার দ্রুত ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবে এবং কুকুরের মাংস শিল্পে তাদের ব্যবসা বন্ধ করার জন্য সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করবে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্স্ট লেডি কিম কিওন হি কুকুরের মাংস খাওয়ার একজন সোচ্চার সমালোচক ছিলেন এবং তার স্বামী প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বিপথগামী কুকুরদের নানা সময় দত্তক নিয়েছেন।
‘এন্টি-ডগ মিট’ বিলটি অতীতে ব্যর্থ হয়েছিল এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের প্রতিবাদের কারণে।
প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকবে তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ড এবং ব্যবসার বাণিজ্য থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক সহায়তা।
কুকুরের মাংস খাওয়া কোরিয়ান উপদ্বীপে একটি প্রাচীন অভ্যাস বলে জানা গেছে। প্রাণীবাদী গোষ্ঠীগুলো ওই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমাদের সকলের জন্য একটি স্বপ্ন সত্যি হয়েছে, যারা ওই নিষ্ঠুরতার অবসানের জন্য এত বছর কঠোর প্রচারণা চালিয়েছি।’