পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন এবং সিউল দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রতিরোধ ব্যবস্থার নতুন প্রদর্শনীতে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দর শহর বুসানে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, জাহাজটি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রতিরক্ষার প্রতিশ্রুতি পূরণের চিত্র মাত্র।
প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটন এবং সিউল চলতি বছর যৌথ প্রতিরক্ষার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল।
রয়টার্স জানিয়েছে, ওই যৌথ প্রতিরক্ষার অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অস্ত্র মোতায়েন করা এবং পারমাণবিক বিকল্পসহ উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণের জন্য মার্কিন প্রতিক্রিয়া সমন্বয় করার প্রক্রিয়া অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
গত সপ্তাহে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ইউএসএস কার্ল ভিনসনের আসন্ন আগমনের ঘোষণা দিয়েছিলেন, যেটি ২০১৭ সালে শেষবার কোরীয় উপদ্বীপ পরিদর্শন করেছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবহরের মেরিটাইম অপারেশন সেন্টারের পরিচালক কিম জি-হুন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রণতরীটির দক্ষিণ কোরিয়ায় আগমন দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন জোটের দৃঢ় সম্মিলিত প্রতিরক্ষার চিত্র এবং এটি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকির জবাব দেওয়ার দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শন করে।’
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের অপারেশনের প্রধান পরিচালক কাং হো-পিল বলেছেন, ‘সিউল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে যদি পিয়ংইয়ং তার গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পথে এগিয়ে যায়।