চলতি সপ্তাহের শুরুতে দেশটির প্রথম সামরিক গুপ্তচর উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পর ‘মহাকাশ শক্তির নতুন যুগ’ উদযাপন করছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
পিয়ংইয়ং বলেছে, তারা গত মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ‘মালিগিয়ং-১’ স্যাটেলাইট সফলভাবে কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করেছে। উৎক্ষেপণের কয়েক ঘন্টার মধ্যে দেশটি দাবি করেছে যে, তারা ওই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া কিম গুয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটির ছবি পর্যালোচনা করছেন।
দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে জাতীয় মহাকাশ সংস্থা পরিদর্শনের সময় কিম বলেছেন, ‘উৎক্ষেপণটি ছিল আত্মরক্ষার অধিকারের একটি পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন।’
আল-জাজিরা জানিয়েছে কিম আরও বলেন, ‘উৎক্ষেপণটি ছিল একটি চোখ খোলার ঘটনা, যা উত্তর কোরিয়াকে শত্রু শক্তির বিপজ্জনক এবং আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে এবং এটি মহাকাশ শক্তির একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।’
এদিকে, পারমাণবিক সশস্ত্র দেশটির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে লাগাম টানতে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার অধীনে নিষিদ্ধ করা এই উৎক্ষেপণটি উপদ্বীপে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সিউলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ঘোষণা করেছে যে, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ২০১৯ সালের পর তাদের প্রথম ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় বসবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছেন যে, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান এবং বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
পিয়ংইয়ংয়ের প্রধান মিত্র বেইজিংকে কিছু ক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শণের আহ্বান জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন।
সিউলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ওই শীর্ষ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির উন্নয়নের দিকনির্দেশনা নিয়ে ব্যাপকভাবে মতামত বিনিময়ের পরিকল্পনা করেছেন।’