রুশ আগ্রাসনে টানা প্রায় দুই বছর ধরেই চলছে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা করে আসলেও এই মুহুর্তে তা আর সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জার্মান বার্তাসংস্থা ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রিপাবলিকানরা হোয়াইট হাউসে ১০ হাজার কোটি ডলারের একটি সহায়তা প্যাকেজ আটকে দিলে এমন ঘোষণা আসে। এতে ইউক্রেনকে সাহায্য করার মতো অর্থ বাইডেন প্রশাসনের হাতে নেই বলে জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ‘কংগ্রেস যদি দ্রুত এই প্যাকেজ অনুমোদন না করে, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে সাহায্য করা যাবে না। সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে, আমাদের হাতে ইউক্রেনকে সাহায্য করার মতো অর্থও আর নেই।’
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে বাইডেন প্রশাসন কংগ্রেসকে ১০ হাজার কোটি ডলারের প্যাকেজ অনুমোদন করতে বলে। ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে সাহায্য করার জন্য মোট ১০৬ বিলিয়নের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে রিপাবনিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে বাইডেন প্রশাসনকে এই অনুমোদন দেয়নি হাউস।
সোমবার হাউসের স্পিকারকে চিঠি লিখেছেন জো বাইডেনের বাজেট ডিরেক্টর লিখেছেন, ‘আমাদের হাতে কোনও জাদুর ঘড়া নেই, যা দিয়ে আমরা পরিস্থিতি সামলাতে পারি। আমাদের হাতে কোনও অর্থ নেই। আর আমাদের হাতে সময়ও নেই।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘যদি কংগ্রেস ওই প্য়াকেজে অনুমোদন না করে, তাহলে এই বছরের শেষে আমাদের হাতে কোনও অর্থ থাকবে না, যা দিয়ে আমরা ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র বা যন্ত্রপাতি কিনতে পারি। আর এই অস্ত্র ও সাহায্য না পেলে ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে লড়তে পারবে না। তারা যেটুকু অগ্রগতি অর্জন করেছে, সেটিও নষ্ট হবে।’
জতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যক সুলিভান বলেছেন, যদি প্যাকেজ অনুমোদিত না হয়, তাহলে রাশিয়া লাভবান হবে। তিনি সংবাদিকদের বলেছেন, ‘কংগ্রেসকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা ইউক্রেনের স্বাধীনতার লড়াইয়ে সাহায্য করবে, নাকি পুতিনের লাভ দেখবে।’