ইসরায়েলের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, ‘হামাসের যোদ্ধাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ডিজিটাল ডিভাইস এবং নথিগুলো থেকে জানা গেছে বছরের পর বছর পরিকল্পনা করে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল ফিলিস্তিনের সশস্ত্র ওই গোষ্ঠী।
ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মৃত বা বন্দীকৃত ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের কাছ থেকে পাওয়া উপাদানগুলো হামলার জন্য বিশদ পরিকল্পনা প্রদর্শণ করে, যার উদ্দেশ্য ছিল মানুষের চেতনা ভেঙে ফেলার মতো একটি পদক্ষেপ।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্য একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ট্যাব, জিপিএস ডিভাইস, গোপ্রো ক্যামেরা, মানচিত্র এবং নোটবুক থেকে পাওয়া তথ্য থেকে বোঝা গেছে কীভাবে ঘাঁটি এবং কিবুতজিমকে আক্রমণ করতে হবে, সে সম্পর্কে বছরের পর বছর পরিকল্পনা করেছে হামাস।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর শত শত হামাস এবং এর সহযোগী সংগঠনের যোদ্ধারা গাজা জঙ্গিরা দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায়। ওই হামলায় ১২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক ছিল।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, হামলার পর প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে হামাস।
জবাবে ইসরায়েল অবিরাম বোমাবর্ষণ এবং একটি স্থল আক্রমণের মাধ্যমে হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গাজায় প্রায় ১৫,৯০০ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস গত ১ ডিসেম্বরে প্রতিবেদন করেছে যে, এক বছরেরও বেশি সময় আগে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা হামাসের হামলার একটি পরিকল্পনা জেনেছিল। কিন্তু, তারা এটিকে একটি কাল্পনিক বিষয় হিসাবে বিবেচনা করেছিল।