মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ এথিক্স কমিটির

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2023-12-08 15:17:50

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে লোকসভায় রিপোর্ট পেশ করেছে এথিক্স কমিটি। লোকসভায় ওই রিপোর্ট পেশ করেন বিজেপি সাংসদ বিজয় সোনকর। এ ক্ষেত্রে রিপোর্ট পড়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় চেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

সংসদে পৌঁছে মহুয়া মৈত্র শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বলেন, ‌‘মা দুর্গা এসে গেছেন। এখন আমরা দেখব, যখন কোনও মানুষের সর্বনাশ হওয়া শুরু হয়, তখন সবার আগে বিবেকের নাশ হয়। তারা বস্ত্রহরণ শুরু করেছে এবং এখন আপনারা মহাভারত কা রণ দেখতে পাবেন।’

মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশের আগেই লোকসভায় ধুন্ধুমার হৈচৈ হওয়ায় সংসদ অভিবেশন দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি ঘোষণা করা হয়।

এর আগে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র বলেছিলেন, ‘যা হবে দেখা যাবে।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার মামলায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন লোকপাল।

এর আগে সিবিআইয়ের কাছে মহুয়ার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার মামলায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহদরাই এবং বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।

পরে সংবাদমাধ্যমে মহুয়া মেনে নিয়েছিলেন যে, তিনি হিরানন্দানিকে আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন। তবে, ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছিলেন মহুয়া।

হিরানন্দানি দাবি করেছিলেন, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আক্রমণ করার পথ বেছে নেন মহুয়া।

কিন্তু, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কারণে নীতি সংক্রান্ত বিষয়, প্রশাসনিক বিষয়ে মোদিকে আক্রমণের সুযোগ পাননি মহুয়া। সেজন্য আদানি গোষ্ঠীর মাধ্যমে মহুয়া প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আক্রমণের পথ বেছে নেন।

হিরানন্দানি আরও দাবি করেছিলেন, ২০১৭ সালে বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মহুয়ার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল তার। ওই সময় বিধায়ক ছিলেন মহুয়া।

২০১৯ সালে সাংসদ হন মহুয়া। সেই সময় ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব চলছিল আদানি এবং হিরানন্দনিদের মধ্যে। দর্শনের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি না করে আদানি গোষ্ঠীর ধর্মা এলএনজির সঙ্গে চুক্তি করেছিল ইন্ডিয়ান অয়েল।

এই অবস্থায় আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্নমালা তৈরি করে দেওয়ার জন্য দর্শনকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন মহুয়া। এর জন্য তাকে সংসদের লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন মহুয়া।

হিরানন্দানির হলফনামায় দাবি কর হয়, ক্রমেই মহুয়ার সঙ্গে হিরানন্দনির সম্পর্ক ভালো হতে থাকে। পরে তার কাছ থেকে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া করতে থাকেন মহুয়া। তার ওপর নাকি মহুয়া চাপও সৃষ্টি করেছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর