ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) করেননি সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩ জানুয়ারি মামলাটির শুনানি হবে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন মহুয়া। কিন্তু, বৃহস্পতিবার সকালে জানা যায়, ওই আর্জি মঞ্জুর করেননি ভারতের শীর্ষ আদালত।
তাই মামলাটির শুনানি হবে আগামী ২ জানুয়ারি। পরে জানা যায়, ২ জানুয়ারি নয়, বরং শুক্রবারই (১৫ ডিসেম্বর) মামলাটির শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
বুধবার মহুয়ার মামলাটির দ্রুত শুনানি চেয়ে বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কউল এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তার আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
বিচারপতি কউল জানিয়েছিলেন, মামলাটির দ্রুত শুনানি করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি মহুয়ার আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বলেন।
তারপরে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে গিয়ে একই বিষয়ে আর্জি জানান সিঙ্ঘভি। তার আবেদন ছিল, বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার মামলাটির শুনানি করা হোক। শুনে প্রধান বিচারপতি ইমেল মারফত আবেদন করতে বলেন।
বিষয়টি তিনি বিবেচনা করবেন বলেও আশ্বাস দেন। এর পরে বৃহস্পতিবার রাতে জানা যায়, মহুয়ার আর্জিতে সাড়া দিয়ে শুক্রবারই মামলাটি শুনতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে মহুয়ার মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার। কিন্তু, শেষমেষ তা হচ্ছে না। মামলার শুনানি ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি খান্না জানান, তাদের কাছে ওই মামলার ফাইল শুক্রবার সকালেই পৌঁছেছে। তারা এখনও মামলাটি পড়ে দেখার সময় পাননি। তাই শুক্রবারেই মামলাটির শুনানি সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, ‘ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করা’র মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়াকে। লোকসভার এথিক্স কমিটির রিপোর্ট মেনেই ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান স্পিকার ওম বিড়লা।
এরপর মহুয়া এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে এথিক্স কমিটির ওই রিপোর্টের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। মহুয়াকে সংসদে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
তাই সাংসদ পদ খারিজের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মহুয়া।