বাড়ছে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধের আশঙ্কা

মধ্যপ্রাচ্য, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-12-21 04:34:42

সম্প্রতি এই জরিপে দেখা যায় ইসরায়েলের ৫২ শতাংশ মানুষ অবিলম্বে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পক্ষে। 

নভেম্বরের শেষ দিকে পরিচালিত জনমত জরিপটিতে দেখা যায়, ইসরায়েলের ৫২ শতাংশ মানুষ অবিলম্বে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পক্ষে। অন্যদিকে মাত্র ৩৫ শতাংশ মানুষ এই যুদ্ধ শুরুর বিপক্ষে।

হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কারণ সংঘাত আঞ্চলিক রূপ নিলে ইরানও জড়িয়ে পড়তে পারে। তবে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের নতুন একটি যুদ্ধ অনিবার্য— এটা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে ইসরায়েলি রাজনীতিক, জেনারেল ও সাধারণ জনগণ। 

গত ৭ অক্টোবর সকালে হামাসের হামলার খবর যখন প্রথমবারের মতো প্রকাশ পায়, ইতাই রুভেনি ও অন্য আপৎকালীন প্যারাট্রুপাররা তাদের ব্যাগ গুছিয়ে নেন। সেনাবাহিনী থেকে ডাক পড়ার আগেই জমায়েত হওয়ার স্থানে তারা চলে যান। কিন্তু দক্ষিণে গাজা সীমান্তে না গিয়ে উত্তর দিকের সীমান্তে যান। তাঁদের বিশ্বাস ছিল, সেখানে হামাসের চেয়ে বড় হুমকি হিসেবে রয়েছে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত তেহরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।

৪০ বছর বয়সী মাস্টার সার্জেন্ট ইতাই রুভেনি বেসামরিক জীবনে সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি বলেন, দক্ষিণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন উত্তরে না ঘটতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতেই তারা সেখানে এসেছেন। ইতাই রুভেনি আরও বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি, হিজবুল্লাহ হামাসের চেয়ে অনেক বেশি আধুনিক। এই সীমান্তে কেবল তিন হাজার নন, আরও বেশি যোদ্ধা আসতে পারে। তা ছাড়া এই সমীকরণে ইরানও থাকবে। তাদের মোকাবিলা করতেই আমরা এখানে এসেছি।’

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের জন্য হিজবুল্লাহকে বড় বিপদ হিসেবে শুধু রুভেনিই দেখছেন না। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও মন্ত্রিসভার অন্যান্য কট্টরপন্থী সদস্য লেবাননের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিজেরাই আগে আক্রমণ চালানোর পক্ষে ছিলেন।

গত ২০০৬ সালে ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধের পর থেকে গত ১৭ বছর সীমান্তবর্তী এলাকাটি তুলনামূলক শান্ত ছিল। কিন্তু সে বছরই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত ১৭০১ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী শান্তির গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো কখনোই বাস্তবায়িত হয়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর