ভূমধ্যসাগর বন্ধের হুমকি ইরানের 

মধ্যপ্রাচ্য, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-12-23 19:41:04

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা সংঘাত বন্ধ না করলে ভূমধ্যসাগর বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা নাকদি। 

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর)  ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, রেজা নাকদি বলেছেন, ‘শিগগিরই ভূমধ্যসাগর, জিব্রাল্টার প্রণালী এবং অন্যান্য জলপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

তবে কী ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে ভূমধ্যসাগর বন্ধ করে দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

এদিকে, ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিরা গত মাসে গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধে লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী ইসরায়েলি সব বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার হুমকি দিয়েছে। এমনকি বেশ কিছু জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। হুথিদের ক্রমবর্ধমান হামলার মুখে বিশ্বের প্রধান প্রধান শিপিং কোম্পানিগুলো তাদের জাহাজ পরিচালনার রুট পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স আরও জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগরে ইরানের সরাসরি প্রবেশাধিকার নেই। বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা নাকদি ‘নতুন প্রতিরোধ শক্তির জন্ম এবং অন্যান্য জলপথ বন্ধ করার’ কথা বললেও কীভাবে তা করা হবে, সেটি স্পষ্ট নয়।

ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি নাকদির বরাত দিয়ে বলেছে, ‘গতকাল পারস্য উপসাগর এবং হরমুজ প্রণালী তাদের (ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র) জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। আজ তারা আটকা পড়েছেন...লোহিত সাগরে।’

প্রসঙ্গত, ভূমধ্যসাগরে ইরান সমর্থিত একমাত্র গোষ্ঠী হল লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। আর জিব্রাল্টার প্রণালী থেকে সমুদ্রের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সিরিয়ার মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর প্রতি ইরানের সমর্থন রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আগ্রাসন শুরু করেছে ইসরায়েল। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অপরাধযজ্ঞে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিচ্ছে বলে অভিযোগ করছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে গাজায় ২০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর