পাকিস্তানের উচ্চ আদালত বুধবার (৩ জানুয়ারি) পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) আন্তঃ-দলীয় নির্বাচন স্থগিত করার শীর্ষ নির্বাচন কমিশনের আদেশ পুনরায় বহাল করেছে।
যে কারণে ইমরান খানের দল আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচনী প্রতীক হিসাবে আইকনিক ক্রিকেট ‘ব্যাট’ পাচ্ছে না।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) রিভিউ পিটিশনের বিপরীতে পেশোয়ার হাইকোর্টের বিচারক এজাজ খান ওই রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছে ডন।
গত ২২শে ডিসেম্বর ইসিপি পিটিআইয়ের আন্তঃদলীয় নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে এবং দলটিকে তার ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক থেকে বঞ্চিত করে।
গত ডিসেম্বরে দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে ব্যারিস্টার গোহর খান দলের নতুন চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন।
পেশোয়ার হাইকোর্টে ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছিল পিটিআই। গত ২৬ ডিসেম্বর পিটিআইয়ের অন্তঃদলীয় নির্বাচনের ইসিপির ঘোষণাকে অসাংবিধানিক হিসাবে স্থগিত করে দলটির প্রতীক ফিরিয়ে দেন পেশোয়ার হাইকোর্ট। পরে ওই রায়কে ফের চ্যালেঞ্জ করে ইসিপি।
বিচারপতি এজাজ খানের সভাপতিত্বে শুনানির সময় পিটিআইয়ের কৌঁসুলি আনোয়ার বলেন, ‘ইসিপি বিচারিক প্রতিষ্ঠান নয়। পিপিপি ছাড়া সব দলই পিটিআইকে নির্বাচনী লড়াই থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করেছে। সংবিধান অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা দিয়েছে।’
এদিকে গত সোমবার পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর খান বলেছেন, তার দল নির্বাচনী প্রতীক হিসাবে ক্রিকেট 'ব্যাট' না পেয়েও সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকের সময় পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে তার দলের চ্যালেঞ্জসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন গোহর খান।
গোহর খান বলেন, 'ব্যাট' বরাদ্দ না পেলেও তার দল ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ভিন্ন প্রতীকে অংশগ্রহণ করবে। তিনি কখনোই অন্য দলের জন্য মাঠ খোলা রাখবেন না।
তিনি বলেন, ‘ব্যাট প্রতীক না পেলেও আমরা নির্বাচনে অংশ নেব। পিটিআই কোনও অবস্থাতেই নির্বাচন বয়কট করবে না।’
শক্তিশালী সামরিক সংস্থার সঙ্গে তার দলের কোনও বিরোধ আছে, এমন ধারণাও তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি বলেন, ‘পিটিআই এবং ইমরান খান শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে বলে আসছেন যে, সামরিক বাহিনীসহ কারও সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই।’