রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের হিসাব ছিল, মালদ্বীপের পর এবার ভুটানের নির্বাচনেও নাক গলাবে চীন। ভারতের এই বন্ধু রাষ্ট্রদের হারানোর চেষ্টা করবে।
কিন্তু, হিমালয় ঘেরা এই দেশটির জাতীয় আইনসভা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচনে ‘ভারতের বন্ধু’ বলে পরিচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের দল পিডিপি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার ভুটানে দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত দফার সংসদীয় নির্বাচন হয়েছিল। মোট ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩০টিতে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে শেরিংয়ের দল পিডিপি।
গত বছর গঠিত হওয়া নতুন দল ভুটান টেন্ড্রেল পার্টি (বিটিপি) বাকি ১৭টিতে জিতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিরোধী দল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভুটানের সাধারণ নির্বাচন দুটি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুটি দল দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নেয়।
গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনে পিডিপি ৪২ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছিল। বিটিপির ঝুলিতে গিয়েছিল প্রায় ২০ শতাংশ।
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের দল ড্রুক নয়ামরুপ সোগপা (ডিএনটি) ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৩০টি আসনে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেলেও গত নভেম্বরের নির্বাচনে ১৫ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিল।
বিদায়ী ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ১৭ সদস্যের বিরোধী দল ড্রুক ফুয়েনসাম সোগপা (ডিপিটি) ১৩ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছিল। ফলে ডিএনটি এবং ডিটিপি চূড়ান্ত পর্যায়ের ভোট অংশ নিতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, পিডিপি নেতা শেরিং ২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন। তার সময় দ্বিপাক্ষিক কূটনীতি এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছিল।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, আগামী দিনে ভারতের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতিতে উত্তর সীমান্তের আর এক দেশ ভুটানের নির্বাচনের দিকে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত রাজা জিগমে ওয়াংচুকের দেশ স্বস্তি দিল নয়াদিল্লিকে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জয়ের জন্য অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়েছেন শেরিংকে। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘এর ফলে ভারত-ভুটান দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী এবং সহযোগিতা আরও নিবিড় হবে।’