বৈশ্বিক অর্থনীতি ও রাজনীতিতে তাইওয়ান নির্বাচনের প্রভাব

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

আসমা ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, বার্তা ২৪ | 2024-01-13 19:28:21

পূর্ব এশিয়ার অন্যতম স্বশাসিত পৃথক দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় এসেছে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)। সারা বিশ্বে মাত্র ১২টি দেশ এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দিয়েছে যাদের অধিকাংশই দক্ষিণ আমেরিকা, ক্যারিবীয় ও ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ। সীমান্তবর্তী রাষ্ট্র চীন মনে করে হংকংয়ের মতো তাইওয়ানও চীনের অংশ। কোনো একদিন আবারও তাইওয়ান চীনের অধিভুক্ত হবে সে অপেক্ষায় রয়েছে চীন। কিন্তু গত ৮ বছরের ক্ষমতাসীন ডিপিপি সরকার চেয়েছে একটি স্বাধীন তাইওয়ান প্রতিষ্ঠা করতে। সে প্রচেষ্টায় বারবার সহায়তা নিয়েছে চীনের চির প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র থেকে। 

চীনের সেই অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হতে চলেছে আজকের নির্বাচনের এই ফলাফলের মাধ্যমে। সম্পর্ক প্রসারিত হতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে। এতে শুধু চীন বা যুক্তরাষ্ট্র নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতি ও আঞ্চলিক রাজনীতির কারণে বিশ্বের সব দেশের কাছেই তাইওয়ানের পার্লামেন্ট নির্বাচন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নির্বাচনী ফলাফল চীন-তাইওয়ান সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে এবং একইসঙ্গে এই পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীন-তাইওয়ান সম্পর্ক সারা বিশ্বের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। বাণিজ্যিক ইস্যুতেও যথেষ্ট প্রভাব রাখবে এই নির্বাচনী ফলাফল।

বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তাইওয়ান নির্বাচনের প্রভাব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি যেমন ফোন, ল্যাপটপ, ঘড়ি, গেম কনসোলসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিকস সামগ্রী তাইওয়ানের তৈরি কম্পিউটার চিপসের সাহায্যে চলে। এদিক থেকে তাইওয়ানের ‘দ্য তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফাকচারিং কোম্পানি বা টিএসএমসি’ সারা বিশ্বের অর্ধেক বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। টিএসএমসিকে বলা হয় ‘ফাউন্ড্রি’। অর্থাৎ টিএসএমসি এমন একটি কোম্পানি যারা চিপস ভোক্তা ও সামরিক ক্রেতাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই বিরাট শিল্পের বাজার দখলে মরিয়া চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই অনেক চীনা ইলেক্ট্রনিকস ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। এক্ষেত্রে তাইওয়ানের সাথে মিলিত হয়ে একেযোগে কাজ করলে চীনকে একেবারেই সরিয়ে দেওয়া অবাক করা কোনো বিষয় হবে না।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য নানা নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সেই চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) আবার জয়লাভ করায় প্রযুক্তিক্ষেত্রে চীনের প্রবেশাধিকার যেন কমে আসে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানসহ তাদের মিত্ররা মাইক্রোচিপ তৈরিতে আরও এগিয়ে যেতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করবে দেশটি। কিন্তু অপর দল কুওমিনটাং পার্টি (কেএমটি) ক্ষমতায় আসলে তাইওয়ানের বাণিজ্যে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইতো বেইজিং। বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই শিল্পের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রক পেতে বেশি বেগ পেতে হতো না চীনকে। 

তাইওয়ানের বড় দুই দলের মধ্যে (ডিপিপি) এখনও  স্বাধীনতার পক্ষে যার সহায়তায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে কেএমটি চায় মূল চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের একত্রীকরণ। ডিপিপি ক্ষমতায় আসায় চলমান উত্তেজনাই যেন বজায় থাকলো চীন এবং তাইওয়ানের মধ্যে। তবে দেশটির জনগণ অর্থনীতির বিষয়টিকে নির্বাচনের আগে বেশি প্রাধান্য দিয়ে আসছিল।

তাইওয়ানের অর্থনীতি এখন চীনের ওপর এতটাই নির্ভরশীল যে জনসংখ্যার একটা বড় অংশ এখন আর স্বাধীনতাকে কোন বাস্তবসম্মত বিকল্প বলে ভাবে না। তাইওয়ানের জনগণের একটি অংশ তাইওয়ানকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে দেখতে চাইলেও অর্থনীতিতে চীন নির্ভরতা থাকার কারণে কেউ কেউ চীনের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পক্ষে ছিল।

চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের চলমান উত্তেজনার মধ্যে পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, তাইওয়ানের জনগণ মনে করে অর্থনৈতিক উন্নয়নই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ২০২৩ সালে ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায় ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ নাগরিক চান যে, তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট অর্থনীতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিক। দেশটির জনগণের একটা বিরাট অংশ মনে করেন, তাইওয়ান এখন যে অবস্থায় আছে (চীনেরও অংশ নয়, আবার চীন থেকে আলাদাও নয়) সেটিই সুবিধাজনক অবস্থা। ডিপিপিকেই আবার ক্ষমতায় আনার কারণও হতে পারে সেটিই।

তবে দেশটিতে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও ধীর অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে নির্বাচনের আগ মুহুর্তে ক্ষমতাসীন দল ডিপিপির প্রতি আস্থা কম ছিল জনগণের। স্বল্প বেতন, নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য ও বাড়ির মূল্য বাড়া নিয়ে তরুণ জনগোষ্ঠী ও শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক হতাশাও দেখা দিয়েছিল। এমন নড়বড়ে অর্থনীতি নিয়ে এশিয়ার পরাশক্তি চীনকে মোকাবিলা করা সহজ হবে না দেশটির জন্য। আবার অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলেও চীনের প্রতি সংবেদনশীল থাকতে হবে এমনটাই ভাবতো দেশটির জনগণ। তাছাড়া চীন-তাইওয়ান সম্পর্কের উপর বৈশ্বিক অর্থনীতিও নির্ভরশীল। অন্যদিকে প্রযুক্তির আন্তর্জাতিক বাজারে তাইওয়ানকে পাশে পেতে চাওয়া যুক্তরাষ্ট্রও বৈশ্বিক অর্থনীতির বড় নেয়ামক। তাই এই নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দিতে পারে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক চিত্র।

আঞ্চলিক রাজনীতিতে তাইওয়ান নির্বাচনের প্রভাব:

একদিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরাশক্তি চীনের উপর নির্ভরশীলতা অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের সমর্থনে স্বাধীনতা লাভের আকাঙ্ক্ষা তাইওয়ানকে সিদ্ধান্তহীনতায় ফেলে বারবার। গত নির্বাচনের ফলাফল দেখলে বোঝা যায় দেশটির জনগণও এ বিষয়ে যথেষ্ট সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল।

২০১৫ সালের  নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৭৫ শতাংশ। সে নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, ভোটের শতাংশের হিসাবে স্বাধীনতাকামী সাই ইং-ওয়েনের নেতৃত্বে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি-ডিপিপি ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়ে ৬৩টি আসন লাভ করে। হ্যান কিউ-ইউ'র নেতৃত্বে চাইনিজ ন্যাশনালিস্ট পার্টি ৩৮ দশমিক ছয় শতাংশ ভোট পেয়ে ৩৮টি আসন লাভ করে। জেমস সুং এর নেতৃত্বে চার দশমিক তিন শতাংশ ভোট পেয়ে ৫টি আসন পায়  তাইওয়ান'স পিপলস পার্টি এবং অন্যান্যরা বাকি ৯টি আসন পায়। ১১৩ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে ডিপিপি। কিন্তু ২০২২ সালের স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে ডিপিপির ভরাডুবি হয়। ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারায় স্বাধীনতা প্রত্যাশী ডিপিপি’র সাই ইং-ওয়েন। চীন এই রাজনৈতিক দলকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে দেখে থাকে।

কিন্তু ডিপিপির হয়ে এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন লাই চিং-তে। আবারও ডিপিপি অন্যদের সাথে জোট বেঁধে ১১৩ সদস্যের আইনপ্রণেতাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এতে আইন তৈরি, বাজেট, যুদ্ধ ঘোষণা এবং কূটনৈতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা তাদের হাতেই থাকলো।

লাইয়ের বিপরীতে তাইওয়ানের বৃহত্তম বিরোধী দল কুওমিনতাংয়ের (কেএমটি) হউ ইউ-ইহ এবং তাইওয়ান পিপলস পার্টির (টিপিপি) নেতা ও  সাবেক মেয়র কো ওয়েন-জে লড়েছেন। হউ চীন ও তাইওয়ানের জনগণের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক তৈরির পক্ষে ছিল। অপর প্রার্থী কো ওয়েন-জে জনগণের দৈনন্দিন জীবনের ওপর তার মূল ফোকাস নির্ধারণ করেছেন। তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় এই প্রার্থীও ছিল তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে যুক্ত করার পক্ষে। অনেকটা সুবিধাবাদী অবস্থান বজায় রাখতে তিনি বলেছিলেন, চীনের সাথে তাইওয়ানের একত্রীকরণ দেশের গণতন্ত্র ও জীবনযাত্রার সুরক্ষার বিনিময়ে নয়। একটি উইন-উইন পরিস্থিতি বজায় রেখে অর্থনীতি এবং স্বাধীনতা দুটোই বাঁচিয়ে রাখবে কো ওয়েন-জে।

অর্থাৎ, আজকের নির্বাচনে ডিপিপি ছাড়া যেই ক্ষমতায় আসতো, সে সুবিধা ভোগ করতে পারতো চীন। ভূরাজনীতিতে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তাইওয়ানকে পাশে পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে বেশ ভালোভাবেই টক্কর দিতে পারতো দেশটি। তবে ডিপিপি ক্ষমতায় আসায় সেই অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হলো আরও ৪ বছরের জন্য।

চীন ও তাইওয়ানের রাজনৈতিক ইতিহাস:

চীনের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন তাইওয়ান মূলত দক্ষিণ চীন সমূদ্রের একটি দ্বীপ। ১৬৮৩ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত চীনের রাজারাই শাসন করেছে এক সময়ের ওলন্দাজ কলোনির অন্তর্ভুক্ত থাকা তাইওয়ানের। এরপর জাপানীরা এই দ্বীপ দখল করে নেয়। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়া হয় চিয়াং কাইশেকের নেতৃত্বাধীন চীনা সরকারের হাতে।

মাও জেদং এর নেতৃত্বে কমিউনিষ্ট বাহিনির সঙ্গে চিয়াং কাইশেকের সরকার যখন যুদ্ধে হারতে থাকে তখন চীনের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ হারায় দেশটি। এরপর চিয়াং কাইশেক আর তার কুওমিনটাং সরকারের লোকজন তাইওয়ানে পালিয়ে যায়। সেখানে তারা 'রিপাবলিক অব চায়না' নামে এক সরকার গঠন করে। নিজেদেরকে সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার বলেও দাবি করে তারা। কমিউনিষ্টদের কাছ থেকে আবার পুরো চীনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনাই ছিল তাদের।

জাতিসংঘসহ বিশ্বের অনেক দেশই বহুদিন পর্যন্ত  চিয়াং কাইশেকের সরকারকে চীনের সত্যিকারের সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছিল। এমনকি ১৯৭১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে চীনের প্রতিনিধিত্বও করেছে তাইওয়ানের সরকার। কিন্তু ১৯৭১ সালে জাতিসংঘ বেইজিং সরকারকেই চীনের আসল সরকার বলে স্বীকৃতি দিলে একে একে বিশ্বের প্রায় সব দেশই বেইজিং এর পক্ষ নিল। তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কমতে কমতে একেবারেই তলানিতে এসে থামলো।

১৯৮০র দশক পর্যন্ত চীন আর তাইওয়ানের মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ চলছিল। কিন্তু এরপর থেকে আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করে সম্পর্ক। 'এক দেশ, দুই পদ্ধতি' নামে চীন এক প্রস্তাব রাখে যেখানে তাইওয়ান মূল চীনে বিলুপ্ত হবে, কিন্তু তাদের স্বায়ত্বশাসন দেয়া হবে। তাইওয়ান সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও দুই পক্ষের মধ্যে নিয়মিত ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান থাকে। ২০০০ সালে তাইওয়ানের নুতন প্রেসিডেন্ট হন চেন শুই বিয়ান। ২০০৪ সালে তিনি ঘোষণা দেন যে তাইওয়ান চীন থেকে আলাদা হয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়। তার এই অবস্থান চীনকে ভীষণ রুষ্ট করে। ২০০৫ সালে চীন তড়িঘড়ি করে এক আইন পাশ করে। যাতে বলা হয়, তাইওয়ান যদি চীন থেকে আলাদা হওয়ার চেষ্টা করে, সেটা ঠেকাতে চীন প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করবে।

বিভিন্ন সময়ে তাইওয়ানের আকাশে হামলার হুমকি দিয়ে পরাক্রমশীলতার জানান দেয় চীন। প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে তাইওয়ানকে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। বহুমুখী কারণে স্বাধীনতার চেয়েও নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে দেশটির জনগণ বেশি প্রাধান্য দিলেও নির্বাচিত করলো সেই ডিপিপিকেই। তাইওয়ান নির্বাচনের এই ফলাফল বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে কেমন প্রভাব রাখতে চলেছে সেটিই এখন তাই দেখার বিষয়। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর