স্নায়ু যুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো। আগামী সপ্তাহ থেকে এই মহড়া শুরু হবে বলে জোটের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল ক্রিস ক্যাভোলি এই তথ্য জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাসব্যাপী এই মহড়ায় অন্তত ৯০ হাজার সেনা সদস্য অংশ নেবে।
ক্যাভেলি বলেন, আঞ্চলিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই মহড়া পরিচালনা করা হবে। মূলত এটি সামরিক পরিকল্পনা, যার মাধ্যমে যে কোনো হামলা মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
ন্যাটো তাদের ঘোষণায় সরাসরি রাশিয়ার নাম উল্লেখ করেনি। তবে তাদের নথিতে মস্কোকে সরাসরি হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ন্যাটো জানায়, ডেস্ট্রেয়ার মহড়ায় অংশ নেবে ৫০টির বেশি বিমানবাহী রণতরী থেকে। অংশ নেবে ৮০টির বেশি জঙ্গি বিমান, হেলিকপ্টার ও ড্রোন ও অন্তত ১১০০ যুদ্ধযান। যার মধ্যে থাকবে ১৩৩টি ট্যাংক। পাশাপাশি পদাতিক বাহিনীর লড়াইয়ের ৫৩৩টি যুদ্ধযান থাকছে এই মহড়ায়।
ন্যাটো কমান্ডার ক্যাভোলি আরও বলেন, ন্যাটোর আঞ্চলিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মহড়া চলবে। রাশিয়ার হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া হবে তা নিয়ে ন্যাটো কয়েকদশক ধরে যে প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা তৈরি করেছে তারই মহড়া এটি।
ন্যাটো বলেছে, স্টিডফাস্ট ডিফেন্ডার ২০২৪’ ইউরোপের প্রতিরক্ষাকে জোরদার করতে উত্তর আমেরিকা এবং জোটের অন্যান্য অংশ থেকে দ্রুত সেনাবাহিনী মোতায়েনে নেটোর সক্ষমতা প্রদর্শনেরই মহড়া।
ন্যাটোর হিসেবমতে, একই ধরনের মহড়া ‘রিফরজার’ সর্বশেষ চালানো হয়েছিল ১৯৮৮ সালে স্নায়ুযুদ্ধের সময়। তাতে অংশ নিয়েছিল ১,২৫,০০০ সেনা এবং ২০১৮ সালে ট্রাইডেন্ট জাঙ্কচার মহড়ায় অংশ নিয়েছিল ৫০ হাজার সেনা।
এবারের মহড়ায় ন্যাটো সদস্যদেশগুলোর সেনাদের পাশাপাশি সুইডেন থেকেও সেনারা অংশ নেবে। খুব শিগগিরই ন্যাটো জোটে যোগ দিচ্ছে সুইডেন।
এদিকে ইরানের সামরিক বাহিনী দেশটির দক্ষিণপশ্চিম, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে বিশেষ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স ফোর্স, ইসলামিক রেভলিউশন গার্ডস কর্পস এর এরোস্পেস ফোর্স, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে এই মহড়া।