ইরান ও পাকিস্তান একে অপরের ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ প্রধান অ্যান্টোনিও গুতেরেস।
রয়টার্স জানিয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, ‘ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক হামলার ঘটনায় অ্যান্তোনিও গুতেরেস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই হামলায় উভয় দেশে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।’
দুজারিক বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব উত্তেজনা বৃদ্ধি এড়াতে উভয় দেশকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর বিষয়ে ইরানকে সমর্থন করেছে ভারত। গত বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল তার বক্তব্যে একটু ঘুরিয়ে তেহরানকে নয়াদিল্লির সমর্থনের বিষয়টি পরিস্কার করেছেন।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এটা ইরান এবং পাকিস্তানের বিষয়। এখানে ভারতের কিছুই বলার নেই। ভারতের ক্ষেত্রে বলতে পারি, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আমাদের যে জিরো টলারেন্স নীতি আছে, তাতে আমাদের অবস্থান একেবারে আপসহীন। যখন নিজেদের আত্মরক্ষায় কোনও দেশ কোনও পদক্ষেপ নিয়ে থাকে, সেই বিষয়টা আমরা বুঝি।’
ওই বিবৃতি পর বিশ্লেষকদের বক্তব্য, একটু ঘুরিয়ে ইরানকে সমর্থন করেছে ভারত। সেই সঙ্গে বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের স্বরূপটা আরও একবার তুলে ধরার চেষ্টা করেছে নয়াদিল্লি।
কারণ, ২০১৯ সালে ভারত যখন বালাকোটে বিমান হামলা চালিয়েছিল, তখন পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠীর উপরই হামলা চালিয়েছিল।
ইরানও দাবি করেছে যে, পাকিস্তানের মাটিতে সক্রিয় থাকা জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তারা।
তেহরান জানিয়েছে, পাকিস্তানের মাটিতে সক্রিয় থাকা যে জইশ আল-আদলের ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।
ওই জঙ্গি গোষ্ঠী অতীতে ইরানে একাধিক হামলার বোমা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে। অপহরণ করেছে ইরানের সীমান্তরক্ষী পুলিশের সদস্যদের। আধাসামরিক বাহিনী রেভোলিউশনারি গার্ডের উপর হামলা চালিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর উপর হামলা চালানো হয়েছে।