জাপানে কিয়োটোতে একটি এনিমেশন প্রডাকশন স্টুডিওতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে এক জাপানিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। ২০১৯ সালের মর্মান্তিক ঘটনায় ৩৬ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাপানে ওই ঘটনার পর জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছিল।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক দশকে জাপানের সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনাগুলোর একটি এটি। অগ্নিকাণ্ডে বেশির ভাগ তরুণ শিল্পী নিহত হয়েছিলেন, যা এনিমেশন বিশ্বকে হতবাক করেছিল।
৪৫ বছর বয়সী শিনজি আওবা হামলার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, কিন্তু তাঁর আইনজীবীরা ‘মানসিক অক্ষমতা’কে এর কারণ দেখিয়ে সাজা কমানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে বিচারকরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
প্রধান বিচারক মাসুদা বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) কিয়োটো জেলা আদালতে রায় দেওয়ার সময় বলেন, ‘অপরাধ ঘটানোর সময় আসামি মানসিকভাবে দুর্বল বা পাগল ছিলেন না।’
দেশটির সব জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের চোখ এই মামলাটির ওপরই ছিল। ঘটনার দিন আগুন ছড়িয়ে পড়ায় স্টুডিওর ওপরের তলায় আটকা পড়েন অনেক এনিমেশনকর্মী এবং তারা নিহত হন। অভিযুক্ত আওবা নিজেও আগুনে পড়ে যান। আগুনে তাঁর শরীর ৯০ শতাংশের বেশি পুড়ে গিয়েছিল। সুস্থ হওয়ার পরেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
জাপানের ওই স্টুডিওটি এনিমেশন ফিল্ম ও গ্রাফিক উপন্যাস তৈরি করে। কম্পানিটি ভক্তদের কাছে এর মানসম্পন্ন কাজের জন্য বিখ্যাত। কম্পানিটির দুটি আলোচিত এনিমেশন সিরিজ হচ্ছে ‘দ্য মেলাংকোলি অব হারুহি সুজুমিয়া’ ও ‘কে-অন’। এ ছাড়া আরো জনপ্রিয় এনিমেশন সিরিজ ও ফিল্ম তৈরি করেছে কম্পানিটি।