অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, গত মাসে একটি বিমান হামলার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করা উচিত।
আল জাজিরা জানিয়েছে, গত ৭ জানুয়ারি গির্জায় প্রার্থনায় যোগদানের সময় দুই শিশুসহ ১৭ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
অ্যামনেস্টি বলেছে, ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাত্কার ইঙ্গিত দেয় যে, মিয়ানমারের বিমানবাহিনী গত গত ৭ জানুয়ারি সকালে কানান গ্রামের সেন্ট পিটার ব্যাপটিস্ট চার্চের কাছে তিনটি স্থানে বোমা ফেলেছিল।
গ্রামটির অবস্থান মায়ানমারের ভারত সীমান্তের সাগাইং অঞ্চলে। ওই হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
অধিকার গোষ্ঠীটি বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ক্ষয়ক্ষতি বিমান হামলার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সম্মিলিত ফটো এবং ভিডিও প্রমাণগুলো কমপক্ষে তিনটি হামলার অবস্থান নির্দেশ করে। বিমান থেকে ফেলা প্রায় ২৫০ কেজি ওজনের বোমার সঙ্গে গর্তগুলোর সামঞ্জস্য রয়েছে।’
এদিকে, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী পূর্বে হামলার দায় অস্বীকার করে দাবি করেছে যে, ওই সময় কোনও বিমান ওই এলাকায় ছিল না।
অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স প্রোগ্রামের ডিরেক্টর ম্যাট ওয়েলস বলেছেন, ‘বেসামরিক নাগরিকদের ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মারাত্মক হামলা থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই হামলাগুলোকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্ত করতে হবে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে মিয়ানমারের পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠাতে হবে। আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে এসব অপরাধের অপরাধীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।’