দেশজুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধির মধ্যেই বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ভোট গনণায় দেখা যাচ্ছে ১০৩টি আসনে দেশটির কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ, ৪২টি আসনে পাকিস্তান পিপলস পার্টি ২৭ টিতে এবং বাকি ৬টিতে অন্যান্যরা এগিয়ে রয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ডেরা ইসমাইল খান জেলায় টহলরত পুলিশের গাড়িবহরে হামলায় অন্তত চার পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
দেশটির পুলিশ সূত্রে খবরটি নিশ্চিত করেছে ডন।
ঘটনাটি এমন সময় ঘটলো, যখন দেশটির প্রায় ১২৮ মিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন বিভ্রাটের মধ্যে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছিল, নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট পরিষেবা ব্লক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডেরা ইসমাইল খানের পুলিশ প্রধান রউফ কায়সরানির বলেন, ‘কুলাচি এলাকায় একটি পুলিশ কনভয় লক্ষ্য করে বোমা হামলা ও গুলি চালানো হয়।’
তিনি আরও জানান, ‘এলাকাটি ঘেরাও করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।’
এদিকে মাকরান বিভাগের কমিশনার সাঈদ আহমেদ উমরানি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘প্রদেশটির বিভিন্ন স্থানে গ্রেনেড হামলার খবর পাওয়া গেলেও কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটায় সেখানে ভোটগ্রহণ প্রভাবিত হয়নি।’
এক বিবৃতিতে খাইবার পাখতুনখোয়ার অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিচারপতি (অব.) আরশাদ হুসেন শাহ ডেরা ইসমাইল খান ট্যাঙ্কে হামলার নিন্দা করেছেন।
মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ট্যাঙ্কে গুলিবর্ষণের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এই ধরনের ঘটনা পুলিশকে তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত করবে না। কারণ, জাতি এবং রাষ্ট্র আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশে দাঁড়িয়েছে।’
এদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজাকে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের তাপ্পির নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে চিঠি লিখেছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম) চেয়ারম্যান এবং সাবেক সাংসদ মহসিন দাওয়ার।
এক্স-এ দাওয়ারের অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘জঙ্গিরা নির্বাচনী এলাকার স্থানীয়দের এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে।’