পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর সাথে জোট গঠনের বিষয়টি শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) অস্বীকার করেছে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
ব্যারিস্টার গোহর জিও নিউজকে বলেন, ‘আমরা পিপিপি বা পিএমএল-এনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি না।’
তিনি দাবি করেছেন যে, পিটিআই ১৫০টি জাতীয় পরিষদের আসন জিতেছে এবং একক সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন অর্জন করতে সক্ষম হবে দলটি।
তিনি পরিস্কারভাবে বলেন, ‘আমরা পিপিপি এবং পিএমএল-এন, ব্যারিস্টার গোহর আলী খানের সঙ্গে জোট সরকার গঠন করতে চাই না। আমরা কেন্দ্র এবং পাঞ্জাবে সরকার গঠন করবো।’
তিনি বলেন, ‘খাইবার পাখতুনখোয়াতেও পিটিআই-এর স্পষ্ট নেতৃত্ব রয়েছে এবং সেখানেও আমরা সরকার গঠন করবো। পিটিআই সংসদে থাকবে এবং তার ভূমিকা পালন করবে।’
পিএমএল-এন সিনিয়র নেতা ইসহাক দার দাবি করে বলেছিলেন যে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে সরকার গঠনের বিষয়ে যোগাযোগ করছে পিএমএল-এন।
ইসহাক দারের এই দাবির পরেই মুখ খুললেন ব্যারিস্টার গোহর।
এদিকে, নির্বাচন কর্তৃপক্ষকে নির্বাচনী ফলাফলে কারচুপি করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন পিটিআই মুখপাত্র রওফ হাসান। তিনি বলেন, ভোট চুরি করা হয়েছে। ভোটে কারচুপির অভিযোগ দেশের জন্য ‘বিপর্যয়কর পরিণতি’ বয়ে আনবে বলে জানান তিনি।
রওফ হাসান আরও বলেন, ‘পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শুরু থেকেই সর্বদা এগিয়ে ছিল। প্রথমে কমিশন ফলাফল ঘোষণার গতি কমিয়ে দেয়, পরে সম্পূর্ণভাবেই বন্ধ হয়ে যায়। গত রাতে বড় ব্যবধানে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও সকালে ব্যাপারটা পাল্টে যায়।’
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত ১০৭ আসনের ফলাফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ইমরানপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৪২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ৩৪টিতে এবং কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৪২টি আসনে জয়ী হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।