চলমান সহিংসতার মধ্যেই এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর প্রার্থীদের পেছনে ফেলে এগিয়ে আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
তবে ইমরান খানের পিটিআই দলটি সরকার গঠনের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএলএন বা বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পিপিপির সঙ্গে জোট গড়বে না বলে জানিয়েছে। পিটিআইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান এ ঘোষণা দিয়েছেন। তার দল ১৫০টিরও বেশি আসন পাবে বলে দাবি করেন তিনি।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জিও নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার জিও নিউজকে গহর আলী খান বলেন, ‘পিএমএলএন ও পিপিপির সঙ্গে আমরা কোনো যোগাযোগ রাখছি না। ১৫০টি আসনে পিটিআই জয় পেতে যাচ্ছে। আমরা কেন্দ্রে এবং পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে সরকার গঠন করবো।’
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জিও নিউজের সবশেষ আপডেটে ১৮২টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারিভাবে প্রকাশিত এই ফলাফলে বলা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ৭৬টি আসনে। যাদের বেশিরভাগই ইমরান খানের অনুসারীরা। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) জিতেছে ৫৫টি আসনে। তৃতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৪৩টি আসন। এছাড়াও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট ৪টি, ইস্তেগাম পাকিস্তান পার্টি ২টি, পাকিস্তান মাসহি লিগ ও জমিয়ত উলামা-ই-ইসলাম (এফ) একটি করে আসনে জয় পেয়েছে। তবে এক্ষেত্রে পাকিস্তানি সংবিধান অনুযায়ী কোনো দল এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে ১৩৪টি আসনে জিততে হবে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই। তাই বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে। আর আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।