পাকিস্তানকে ‘অরাজকতা এবং মেরুকরণের’ রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মন্তব্য করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ অসীম মুনির।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই মন্তব্য করলেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে দেশটির সামরিক বাহিনী বিশাল প্রভাব বিস্তার করে আছে। ১৯৪৭ সালে ভারত থেকে বিভক্ত হওয়ার পর থেকে প্রায় অর্ধেক সময় দেশটি পরিচালনা করেছেন জেনারেলরা।
সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে জেনারেল সৈয়দ অসীম মুনির বলেছেন, ‘নৈরাজ্য ও মেরুকরণের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য জাতির স্থিতিশীল হাত এবং একটি নিরাময় স্পর্শ প্রয়োজন।’
বিবৃতিতে আরও হয়েছে, ‘নির্বাচন জয়-পরাজয়ের প্রতিযোগিতা নয়, বরং জনগণের ম্যান্ডেট নির্ধারণের একটি মহড়া। রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং তাদের কর্মীদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের শাসন ও সেবা করার প্রচেষ্টাকে একত্রিত করা উচিত, যা গণতন্ত্রকে কার্যকরী এবং উদ্দেশ্যমূলক করার একমাত্র উপায়।’
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর সমর্থনে দেশটির রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলোর উত্থান এবং পতন ঘটে থাকে, যা এই বছর তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দলকে সমর্থন করছে বলে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হচ্ছে।
শনিবার প্রকাশিত চূড়ান্ত কয়েকটি নির্বাচনী ফলাফলে কোনও সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখা না গেলেও কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুগত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শক্তিশালী পারফরম্যান্সের পর পাকিস্তানের রাজনৈতিক হিসাব বদলে গেছে।
তাই, ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘ বিলম্বের কারণ হিসাবে অনেকেরই অভিযোগ হলো সামরিক বাহিনী ভোট কারচুপিতে জড়িত ছিল।