প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি পিটিআইকে (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাবেন বলে আশা করছেন দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান। কারণ পিটিআই জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কারো সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই, আমরা এগিয়ে যেতে চাই। আমরা এগিয়ে যাব এবং সংবিধান ও আইন অনুযায়ী সরকার গঠন করব।
গহর আলী বলেন, জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। গহর খান দাবি করেন, জাতীয় পরিষদের ২৬৫টি আসনের মধ্যে ১৭০টিতে জিতেছে পিটিআই।
পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২৬৫টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫৩টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ইসিপির তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে পিটিআই পেয়েছে ৯৬টি। নওয়াজ শরিফে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ৭৪টি, পাকিস্তান পিপল’স পার্টি (পিপিপি) ৫৩টি এবং অন্যান্য ৩০টি। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও ১৪টি আসনের ফলাফল ঘোষণা বাকি রয়েছে। এ নিয়ে পিটিআই নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে।
পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান বলেন, পিটিআইকে সরকার গঠনে কোনো বাধা তৈরি করা উচিত নয় এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফলাফল ঘোষণা করা উচিত। তিনি আরও বলেন, চূড়ান্ত ফলাফল আজ রাত ১২টার আগে ঘোষণা করা উচিত।
গহর জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তারা দলের প্রতি অনুগত ছিলেন এবং থাকবেন। তিনি বলেন, তারা স্বাধীন সরকার গঠন করবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার গঠন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পিটিআই আন্তঃদলীয় নির্বাচনের দিকে যাবে।
তিনি জানান, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের বিরুদ্ধে করা সব মামলাই ভুয়া।
তিনি বলেন, যেসব নির্বাচনী এলাকায় ফলাফল বন্ধ রয়েছে সেখানে তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করবেন। গহর আলী শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, বিক্ষোভ আমাদের অধিকার, তবে এটি শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত।