পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ৩ দিন পরেও চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। ফলাফল নিয়ে সৃষ্ট এ অনিশ্চয়তার মধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীসহ সব পক্ষকে বিনয়ের সঙ্গে গণরায় মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির নারী শিক্ষা অধিকারকর্মী এবং শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মালালা ইউসুফজাই বলেন, পাকিস্তানে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ আয়োজনের প্রয়োজন অনেক। নির্বাচিত ব্যক্তিদের উচিত ভোটারদের সিদ্ধান্তকে বিনয়ের সঙ্গে মেনে নেওয়া। একইসঙ্গে দেশটিতে গণতান্ত্রিক ধারার চর্চাকে গুরুত্ব দিতেও সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘ভোট গণনায় স্বচ্ছতা এবং ফলাফলের প্রতি সম্মানও থাকা চাই। পাকিস্তানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে।’
উল্লেখ্য, দেশটির জাতীয় নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্যে ১৩৩ আসনে জয়ের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে ইমরানের দল। ইতিমধ্যে দলটির সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে ১০২ আসনে জয়ী হয়েছেন। চূড়ান্ত লক্ষ্য থেকে ৩১ আসন দূরে অবস্থান করছে পিটিআই। আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ৭৩ আসনে জয়ী। অন্যদিকে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতারা তীর প্রতীক নিয়ে ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছেন।
এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী সরকার গঠনে পিটিআইকে আমন্ত্রণ জানাবে বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান।
গহর আলী খান বলেন, জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন- তাই সংবিধান অনুযায়ী তাদের সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানানো হবে। কিন্তু আসন সংখ্যার দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বলছেন, তার দল পাকিস্তান মুসলিম লীগই (পিএমএল-এন) এই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় দল। তাই অন্যদেরও তার সঙ্গে যোগ দিয়ে সরকার গঠন করার আহ্বান জানান তিনি।
এখনও নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ না হলেও প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, কোনও দলই এই নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজয় লাভ করেনি।