পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং পিপিপির ঐকমত্যের অংশ হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন তিনি।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিএমএলএন এবং পিপিপি এরই মধ্যে জোট সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। সেই ঐকমত্যের অংশ হিসেবেই পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিতা আসিফ আলি জারদারিকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিতা আসিফ আলি জারদারি এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। এর আগে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নতুন এই জোট সরকারের পিপিপি-পিএমএলএন ছাড়াও রয়েছে আরও চারটি রাজনৈতিক দল। এগুলো হলো মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পার্টি (এমকিউএমপি), পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদে আজম (পিএমএলকিউ), ইস্তেকাম-ই পাকিস্তান পার্টি (আইপিপি) এবং বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি)।
বুধবার পিএমএলকিউ’র চেয়ারম্যান চৌধুরী সুজাত হাসানের বাসভবনে ছয় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, ছয়টি রাজনৈতিক দল জোট সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে এবং পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন আসিফ আলি জারদারি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ১৬তম পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়েছে পাকিস্তানে। কিন্তু পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট আসন সংখ্যা ২৬৬টি। এসব আসনের মধ্যে ২৬৫টি আসনে নির্বাচন হয়েছে।
কোনো দল বা জোট যদি সরকার গঠন করতে চায়, তাহলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অন্তত ১৩৩টি আসনে সেই দল বা জোটকে জয়ী হতে হবে। কিন্তু ৮ তারিখের ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, কোনো দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
এই পরিস্থিতিতে কোন দল সরকার গঠন করতে যাচ্ছে এবং সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন কে- এমন প্রশ্নকে ঘিরে টানা ৫ দিন অনিশ্চয়তা চলার পর ঐকমত্যে পৌঁছালো ছয় রাজনৈতিক দল। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সময় এই এমকিউএমপি ছাড়া বাকি ৫টি দলই পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট বা পিডিম নামে একটি রাজনৈতিক জোটের শরিক ছিল।