পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) যুক্তিযুক্তভাবে নেতৃত্বের সংকটের সম্মুখীন হয়েছে।
ইমরানের অনুপস্থিতিতে দলটির চেয়ারম্যান পদ শুন্য হওয়ায় ওই পদে স্থলাভিষিক্ত হওয়াপর দৌড়ে রয়েছেন দলটির বেশ কয়েক জন নেতা।
দ্য নিউজ রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, এদের মধ্য থেকে ব্যারিস্টার আলী জাফর উক্ত পদ থেকে তার নাম প্রত্যাহার করেছেন। দলের আন্তঃদলীয় নির্বাচনের আগে পিটিআই চেয়ারম্যানের প্রার্থী হিসাবে জাফরের নাম ঘোষণা করেছিলেন ব্যারিস্টার গোহর আলী খান।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন জাফর। কারণ, তিনি সিনেটে দলের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে একাধিক আদালতে বিভিন্ন মামলা পরিচালনাকারী আইনি দলের সদস্য তিনি।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পটভূমিতে ৩ মার্চ নতুন আন্তঃ-দলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা করে দলটি।
পিটিআইয়ের নির্বাচনী সূচি অনুযায়ী আন্তঃদলীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের ২৩ এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ করার কথা ছিল।
এদিকে, মনোনয়নপত্রের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে এবং ৩ মার্চ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশাপাশি প্রাদেশিক সম্পাদকমণ্ডলীতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দ্য নিউজের সঙ্গে কথা বলার সময় ব্যারিস্টার জাফর বলেন, তিনি মনে করেন যে, তিনি দলের চেয়ারম্যান হতে পারবেন না। তাই এর পরিবর্তে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তার কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘পেশাগতভাবে আমি মনে করি যে, আমি যখন ইমরান খানকে জেল থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছি, তখন আমি পার্টির চেয়ারম্যান হতে পারি না। কারণ, এখানে দ্বন্দ্ব রয়েছে। দ্বন্দ্বটি হলো চেয়ারম্যান হিসেবে আমার স্বার্থ তাকে কারাগারে রাখা হতে পারে।’
জাফর আরও বলেন, ‘আমি এই ধরনের স্বার্থের সংঘাতে জড়াতে চাই না। পেশাগতভাবে আমি মনে করি এটি ঠিক নয়।’
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে তার প্রত্যাহার গ্রহণ করেছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে জাফর ইতিবাচক জবাব দেন।