ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই নতুন সামরিক চুক্তি সই করল চীন-মালদ্বীপ। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ নিজেদের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে। এতে করে চীন থেকে বিনামূল্যে সামরিক সহায়তা পাবে মালদ্বীপ।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোহাম্মদ ঘাসান মাউমুন দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করতে চীনের আন্তর্জাতিক সামরিক সহযোগিতা অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর মেজর জেনারেল ঝাং বাওকুনের সাথে দেখা করেছেন।
উভয় দেশের মধ্যে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে ও বিনামূল্যে সামরিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু তার দেশ থেকে ভারতীয় সেনাদের প্রথম দলকে প্রত্যাহারের সময়সীমা নির্ধারণ করার কয়েক সপ্তাহ পরেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।
মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঘাসান মাউমুন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের আন্তর্জাতিক সামরিক সহযোগিতা অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর মেজর জেনারেল ঝাং বাওকুন একটি অনুষ্ঠানে চুক্তিগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিময় করেন।
এদিকে মালদ্বীপের ওপর ভারতের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ ও পারস্পরিক নির্ভরশীলতা দুই দেশের সম্পর্কে বেশ উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে।
এর আগে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সৈন্যদের প্রত্যাহারে আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপ রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। পরে এই আল্টিমেটাম অবশ্য মে মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
নির্বাচনের সময় মোহাম্মদ মুইজ্জু ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছিলেন। এবং মালদ্বীপের মাটি থেকে ভারতীয় সৈন্যদের তাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মুইজ্জু ভারত-বিরোধী অবস্থানে অটল রয়েছেন এবং এতে করে মালদ্বীপ ছাড়তে হচ্ছে ভারতীয় সেনাদের।
আর ঠিক এ পরিস্থিতিতেই চীনের সঙ্গে নতুন সামরিক চুক্তি করল মালদ্বীপ।