রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং কৃষ্ণসাগরে নৌযান চলাচল বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনার জন্য শুক্রবার (৮ মার্চ) ইস্তাম্বুল সফর করবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দপ্তর সূত্রে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া করা এক বার্তায় দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানিয়েছে, ‘এ দুই নেতার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং কৃষ্ণসাগরে একটি সুরক্ষিত করিডোর ফের চালু করার বিষয়।’
এদিকে লিথুয়ানিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তেলের উচ্চ মূল্য, নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি এবং রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগের কারণে ইউক্রেনে যুদ্ধ বর্তমান তীব্রতায় অন্তত আরও দুই বছর চালিয়ে যেতে পারবে রাশিয়া।
উল্লেখ্য যে, রাশিয়া ২০২৩ সালে ইউক্রেনে তার যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সেনাবাহিনীকে সংস্কার ও শক্তিশালী করেছে এবং ন্যাটোর সীমান্তে তার সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর পথে রয়েছে।
লিথুয়ানিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা বৃহস্পতিবার আরও জানিয়েছে ‘মস্কো যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করতে এবং যুদ্ধের কার্যকারিতা উন্নত করতে সক্ষম।’
লিথুয়ানিয়ার কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স স্টেট সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট এবং মিলিটারির ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিস যৌথভাবে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী গত মঙ্গলবার বলেছেন, সীমান্তে ন্যাটো বাহিনীর হুমকির প্রতিক্রিয়া হিসাবে দেশের উত্তর এবং পশ্চিমে তার সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করেছে মস্কো।
প্রসঙ্গত, লিথুয়ানিয়া রাশিয়া এবং তার মিত্র বেলারুশের প্রতিবেশী এবং একসময় মস্কো দ্বারা শাসিত ছিল। কিন্তু, এখন দেশটি ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে প্রতিরক্ষা শিল্পের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়াতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আরও জানিয়েছে, রাশিয়া প্রকাশ্যে শুধুমাত্র ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদের সরবরাহ পেয়ে থাকে। কিন্তু, মস্কোর মাইক্রোচিপগুলোর বৃহত্তম সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে চীন এবং দেশটির মুদ্রা ইউয়ান রাশিয়ার আন্তর্জাতিক লেনদেনের প্রধান মুদ্রা হয়ে উঠেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া এবং বেলারুশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সীমান্ত অতিক্রমকারী লিথুয়ানিয়ানদের এজেন্ট হিসাবে নিয়োগের জন্য তাদের প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, লিথুয়ানিয়া ২০২৩ সালে তার বেশ কয়েকজন নাগরিককে আটক করেছে, যাদের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে বেলারুশের গোয়েন্দাদের ডেটা সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে।