ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। ওই তালিকার ৩৯ জন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন দলের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী।
এনডিটিভি জানিয়েছে, কেরালার ওয়েনাড় কেন্দ্রের সাংসদ রাহুল এবারও ওই কেন্দ্রেই প্রার্থী হচ্ছেন।
ছত্তিসগড়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল এবার লোকসভা নির্বাচনে লড়তে চলেছেন। ভূপেশ প্রার্থী হচ্ছেন রাজনন্দগাঁও কেন্দ্র থেকে।
কেরালার তিরুঅনন্তপুরমে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী তারুর এবারও লড়বেন। ত্রিশূরে লড়বেন ভাদাকারার বিদায়ী সাংসদ কে মুরলীধরন। তিনি কেরালার প্রয়াত সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কে করুণাকরনের পুত্র।
উল্লেখ্য, এই মুরলীধরনের বোন পদ্মজা বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
প্রথম দফার ৩৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ছত্তিসগড়ের ৬, কর্নাটকের ৭, কেরালার ১৬, তেলঙ্গানার ৪, মেঘালয়ের ২ এবং নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, সিকিম এবং লখ্যাদ্বীপের একটি করে লোকসভা আসন রয়েছে।
এদিকে, পশ্চিম ত্রিপুরায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস সাহাকে প্রার্থী করে সে রাজ্যে বামদের সঙ্গে সমঝোতার সম্ভবনায় ভেস্তে দিয়েছে কংগ্রেস। অন্য দিকে, মেঘালয়ের গারো আসনে প্রার্থী ঘোষণা করায়, সে রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের সঙ্গেও সমঝোতার সম্ভাবনা কার্যত বাতিল হলো।
কংগ্রেসের অন্য উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল। তিনি লড়বেন কেরালার আলাপুঝা কেন্দ্র থেকে।
২০০৯ এবং ২০১৪ সালে ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বেনুগোপাল।
সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চরণদাস মহন্তের স্ত্রী জ্যোৎস্নাকে ছত্তিসগড়ের কোরবায় প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। গতবারও তিনি ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন।
কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের ভাই তথা বিদায়ী সাংসদ সুরেশ আবার তার পুরনো কেন্দ্র বেঙ্গালুরু থেকেই প্রার্থী হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ওয়েনাড় থেকে ২০১৯ সালে কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল জয়ী হয়েছিলেন চার লাখ ৩০ হাজার ভোটে। হারিয়েছিলেন সিপিআই প্রতিদ্বন্দ্বী পিপি সুনেরকে। এবার ওই কেন্দ্রে তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইয়ের অ্যানি রাজা, যিনি সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী।
কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে বৃহস্পতিবার রাতে তৈরি হয়েছিল লোকসভা নির্বাচনের প্রথম প্রার্থী তালিকা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছিল, ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৬০টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছিল সেখানে। এর মধ্যে দিল্লি, কর্নাটক, কেরালা, তেলঙ্গানা, ছত্তিসগড়, লখ্যাদ্বীপ এবং সিকিম, মণিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরার মতো উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো ছিল।