রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে রাশিয়া ক্রমাগতই পরমাণু অস্ত্র নিয়ে রণ হুঙ্কার দিয়ে যাচ্ছে। তারই মধ্যে কোন কোন দেশ পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করতে পারে, তার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুলেটিন অব দ্য অ্যাটোমিক সায়েন্টিস্টস।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া’য় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ‘বুলেটিন অব দ্য অ্যাটোমিক সায়েন্টিস্টস'-এর প্রতিবেদন তুলে ধরেছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাশিয়ার পাশাপাশি ভারত এবং পাকিস্তানও পরমাণু পরীক্ষা চালানোর সুযোগ নিতে পারে। তারাও তাদের ডিভাইস ও অস্ত্র পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করছে। উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। আর এই দুই দেশসহ অনেক দেশই সম্ভাব্য পরমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো তাদের পরমাণু অস্ত্রকে শুধু শক্তিশালীই করছে না, তার সঙ্গে তারা সম্ভাব্য পরীক্ষার জন্য বিস্ফোরণের পরিকল্পনাও করছে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ও ম্যানহ্যাটেন প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানীদের হাত ধরে এই ‘বুলেটিন অব দ্য অ্যাটোমিক সায়েন্টিস্টস’ শুরু হয়। প্রতিবেদনটিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নিউক্লিয়ার অ্যাফেয়ার্স সংক্রান্ত অ্যাডভাইজার ফ্রাঙ্কোইজ দিয়াজ মউরিন এ দাবি করেন। পরমাণবিক অস্ত্রের বিভিন্ন হ্রাসমূলক আন্তর্জাতিক চুক্তি থাকা সত্ত্বেও অনেক দেশ এই পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষার দিকে ফের ঝুঁকছে। আর এর প্রমাণ হিসেবে স্যাটেলাইটে ধরা পড়া কিছু ছবি উপস্থাপন করেছে প্রতিবেদনটি।
ওই বিস্ফোরক প্রতিবেদন বলছে, ২০২১ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ধারণকৃত স্যাটেলাইট ছবি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, চিন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশই এবার পরমাণু অস্ত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা বিষয়ক এসব তথ্য বেশ উদ্বেগজনক বলে মনে করা হচ্ছে। নজরে থাকছে ভারত ও পাকিস্তানও; যারা সিটিবিটি বা কম্প্রিহেনসিভ টেস্ট ব্যান ট্রিটিতে স্বাক্ষর করেনি।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে ভারত ও পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালায়। এদিকে, ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া আর চিন তাদের মাটির নিচের সুড়ঙ্গের পরিসর বাড়াচ্ছে। দুই দেশের নোভায়া জেমলিয়া আর লোপ নুরে পারমাণবিক ঘাঁটির পরিসর বাড়াচ্ছে।