ইন্দোনেশিয়ার বাতিক এয়ারের একটি ফ্লাইটে দুই পাইলটের মাঝআকাশে ঘুমিয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা কমিটি (কেএনকেটি) তদন্তে নেমে এর সত্যতা খুঁজে পায়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ২৫ জানুয়ারি বাতিক এয়ারের ফ্লাইটটি ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ পূর্ব দ্বীপ সুলাওয়েসি থেকে দেশটির রাজধানী জাকার্তায় যাওয়ার সময় মাঝ আকাশে দুই পাইলট প্রায় ৩০ মিনিটের জন্য ঘুমিয়ে পড়েন। দুই পাইলট ছাড়াও এ৩২০'র ওই ফ্লাইটটিতে তখন ১৫৩ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু ছিলেন।
এ ঘটনার জন্য বাতিক এয়ারের কঠোরভাবে নিন্দা করেছেন দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগের মহাপরিচালক ক্রিস্টি ইন্দাহ মুর্নি। তিনি পাইলটদের আরও সতর্ক হয়ে উড়োজাহাজ চালানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে পাইলটদের বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
অন্যদিকে, বাতিক এয়ারের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান জানায়, উড়োজাহাজ চালানোর দায়িত্বে থাকা সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তার সহযোগী পাইলটকে জানিয়েছিলেন তিনি ‘পর্যাপ্ত বিশ্রাম’ পাননি। উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের ৯০ মিনিট পর তিনি একটু বিশ্রামের অনুমতি চান। তখন তাকে বিশ্রাম করার সুযোগ করে দেন সহযোগী পাইলট। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ওই সহযোগী পাইলটও ঘুমিয়ে পড়েন।
সহযোগী পাইলটের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগের ২০ মিনিট পর জাকার্তা এরিয়া কন্ট্রোল সেন্টার তার সঙ্গে ফের যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু ওই সময় পাইলটদের কাছ থেকে কোনো ফিরতি বার্তা পায়নি কন্ট্রোল সেন্টার।
টানা ২৮ মিনিট ঘুমানোর পর সহযোগী পাইলট বুঝতে পারেন, উড়োজাহাজটি নির্দিষ্ট রুটে নেই। এরপর তিনি সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পাইলটকে দ্রুত ঘুম থেকে ডেকে তোলেন এবং কন্ট্রোল সেন্টারে জবাব পাঠান। তবে ওই সময় কন্ট্রোল সেন্টারকে সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, উড়োজাহাজের ‘রেডিও যোগাযোগে সমস্যা’ হয়েছিল এবং পরে এর সমাধান হয়েছে।
এ ঘটনার পর প্রথমে দুই পাইলটকে তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।