মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বলেছে, ইউক্রেনে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের একটি নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র।
রয়টার্স জানিয়েছে, কংগ্রেসে রিপাবলিকান নেতাদের দ্বারা কিয়েভের জন্য অতিরিক্ত তহবিল অবরুদ্ধ থাকায় কয়েক মাসের মধ্যে এই প্রথম এই পদক্ষেপের ঘোষণা দিল ওয়াশিংটন।
এদিকে, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি এবং রিপাবলিকান কট্টরপন্থীদের কাছ থেকে তহবিলের প্রতিরোধের কারণে আরও সামরিক সহায়তা পাঠানোর উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে হোয়াইট হাউস।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, ‘নতুন এই অর্থায়নটি পেন্টাগন চুক্তি থেকে অপ্রত্যাশিত খরচ সাশ্রয় থেকে আসছে। এবারের সামরিক প্যাকেজে উচ্চ গতিশীলতা আর্টিলারি রকেট সিস্টেমের জন্য গোলা এবং অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র থাকবে।’
সুলিভান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি ইউক্রেনের জন্য মাত্র কয়েক সপ্তাহের যোগান হতে পারে। এই গোলাবারুদ অল্প সময়ের জন্য ইউক্রেনের গোলন্দাজ বাহিনীকে সক্রিয় রাখবে।’
সুলিভান আরও বলেন, ‘এটি যুদ্ধক্ষেত্রের চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট নয় এবং এটি ইউক্রেনের গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাওয়া ঠেকাতে সক্ষম হবে না।’
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেছেন, ‘প্যাকেজের মধ্যে বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং আর্টিলারি রাউন্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পেন্টাগনের সঞ্চয়ের মাধ্যমে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ করা কিয়েভকে অর্থায়নের টেকসই উপায় নয়।’
অন্যদিকে, মার্কিন কর্মকর্তারা ২০২২ সালে জব্দ করা রাশিয়ার প্রায় ২৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার এবং ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র কেনার জন্য অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করার বিকল্পগুলোও ভাবছেন।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন জোরদার করার উপায়গুলো নিয়ে কথা বলার জন্য মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে বাইডেনের সঙ্গে দেখা করার সময় নতুন অস্ত্র প্যাকেজের ঘোষণাটি আসলো।
পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘অন্য সমর্থন কী হতে পারে বিবেচনা করে ইউক্রেনের জন্য আর্থিক সহায়তা সহজলভ্য করার উপায় খোঁজা হচ্ছে।’