উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওওয়েরি মুসেভেনি তার ছেলেকে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসাবে পদোন্নতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
দেশটির প্রতিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঘোষণা করেছে যে, জেনারেল মুহুজি কাইনেরুগাবাকে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিযুক্ত করা হয়েছে।
এই পদোন্নতির খবরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট ইওওয়েরি তার ৪৯ বছর বয়সি ছেলেকে দেশটির আগামী প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার স্থলাভিষিক্ত করার জন্য প্রস্তুত করছেন।
গত বছর এক্স-এ একটি পোস্টে কাইনেরুগাবা বলেছিলেন যে, তিনি ২০২৬ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের ছেলে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক রাজনীতিতে জড়িত হতে বাধা দেওয়ার আইন লঙ্ঘন করে সারাদেশে সমাবেশ করছেন। যদিও কাইনেরুগাবা বলেছেন, তার কার্যক্রম নির্দলীয়।
৭৯ বছর বয়সি মুসেভেনি ১৯৮৬ সালে প্রথম শক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং তারপর থেকে ৬ বার নির্বাচিত হয়েছেন।
তার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স মুভমেন্ট পার্টির মধ্যে তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। এই কারণে অনেকেই বিশ্বাস করে যে, তার উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর একটি বক্তব্য থাকবে।
কাইনেরুগাবার সমর্থকরা বলছেন যে, তিনি সাবেক এই ব্রিটিশ উপনিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের সুযোগ দিয়েছেন।
কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, তার উত্থান পূর্ব আফ্রিকান দেশকে বংশগত শাসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
কাইনেরুগাবা ১৯৯০ সালের শেষের দিকে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তার দ্রুত উত্থানকে ‘মুহুজি প্রকল্প’ বলা হয়।
অনেক উগান্ডাবাসীর কাছে উত্তরাধিকারী হিসাবে কাইনেরুগাবার অবস্থান দীর্ঘকাল ধরে সুস্পষ্ট। তবে, অতীতে এই বিষয়ে আলোচনা করা কারও বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশটির সরকার।
২০১৩ সালে দুটি স্বাধীন সংবাদপত্র এবং দুটি রেডিও স্টেশন ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছিল দেশটির পুলিশ, যখন তারা একজন সিনিয়র জেনারেলের ফাঁস হওয়া গোপনীয় মেমো প্রকাশ করে অভিযোগ করেছিল যে. মুসেভেনি কাইনেরুগাবাকে তার উত্তরাধিকারী হওয়ার জন্য প্রস্তুত করছেন।